সুনিধি চৌহান; কেরিয়ারে হাজারের উপর গান গেয়েছেন। মাত্র চার বছর বয়স থেকে সঙ্গীতের সঙ্গে যুক্ত। আর ১১ বছর বয়সে সঙ্গীতকে পেশা হিসাবে বেছে নিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন । সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছলেও প্রথম বিয়ে, বিচ্ছেদকে জীবনের বড় ভুল হিসাবে দেখেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে নিজের অতীত নিয়ে সরব হয়েছিলেন গায়িকা।
২০০২ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে বিয়ে করেন সুনিধি। কোরিয়োগ্রাফার-পরিচালক আহমেদ খানের ভাই ববি খানের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন। শোনা যায়, ‘পহেলা নশা’ মিউজ়িক ভিডিয়োর কাজ করার সময় ববির সঙ্গে আলাপ হয় সুনিধির। প্রথম আলাপ থেকে বন্ধুত্ব, বন্ধুত্ব থেকে প্রেম হয় দু’জনের। সুনিধি এবং ববি দু’জনেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ২০০২ সালে বিয়ে করেন তাঁরা। কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠানে কোনও আ়ড়ম্বর ছিল না। আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিলেন শুধুমাত্র কাছের মানুষরা।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, বিয়েতে আপত্তি জানিয়েছিলেন সুনিধির বাবা-মা। এমনকি, ববিকে বিয়ে করলে সুনিধির সঙ্গে সম্পর্ক রাখবেন না এমনও বলেছিলেন তারা। কিন্তু পরিবারের বারণ সত্ত্বেও ববিকে বিয়ে করেন সুনিধি। ববিকে বিয়ে করলেও তাদের সংসার সুখের হয়নি। বলিপাড়া সূত্রে খবর, মতের অমিল হওয়ায় মাঝেমধ্যেই অশান্তি হত সুনিধি এবং ববির।
বিয়ের এক বছর পর বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন সুনিধি এবং ববি। শেষের দিকে ববির সঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকতেনও না গায়িকা। বলিপাড়া সূত্রে খবর, সে সময় বলি অভিনেতা অনু কপূর এবং তার স্ত্রী অরুণিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকতেন সুনিধি।
২০০৩ সালে ববির সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় সুনিধির। প্রথম বিয়েকে নিজের জীবনের ‘বড় ভুল’ হিসাবে দেখেন গায়িকা। এক পুরনো সাক্ষাৎকারে এমনটাই দাবি করেছিলেন সুনিধি।
সুনিধি বলেন, ‘আমি জীবনে অনেক ভুল করেছি। কিন্তু আমি সেই ভুলগুলির প্রতি কৃতজ্ঞ। এত কম বয়সে আমার উপর এত ঝড় বয়ে গিয়েছে সেই জন্য কিন্তু ভগবানকে আমি প্রতি মুহূর্তে ধন্যবাদ জানাই।’
সুনিধির দাবি, জীবনে ভুল করেছেন বলেই তিনি বর্তমানে সফল হতে পেরেছেন। গায়িকা বলেন, ‘আমি যখন জীবনের অন্ধকার অধ্যায় কাটাচ্ছিলাম তখন সে বিষয়ে অবগত ছিলাম। আমি জানতাম যে আমি ভুল জায়গায় রয়েছি। কিন্তু তার পাশাপাশি এ-ও জানতাম যে এমন অবস্থায় বেশি দিন থাকব না আমি। ঠিক বেরিয়ে আসব। সেই ভরসাটা ছিল।’
ববির সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সঙ্গীতনির্মাতা হিতেশ সোনিকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান সুনিধি। হিতেশের সঙ্গে বহু বছর ধরেই বন্ধুত্ব ছিল সুনিধির। সেই বন্ধুত্বই প্রেমে পরিণত হয়।
দু’বছরের বেশি সময় ধরে সম্পর্কে থাকার পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন হিতেশ এবং সুনিধি। ২০১২ সালের ২৪ এপ্রিল গোয়ায় সাতপাকে বাঁধা পড়েন দু’জনে। গোয়ায় বিয়ের পর মুম্বইয়ে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন সুনিধি এবং হিতেশ। এই অনুষ্ঠানে বলিপাড়ার বহু তারকা উপস্থিত ছিলেন।
হিতেশকে বিয়ের ছ’বছর পর পুত্রসন্তানের জন্ম দেন সুনিধি। বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল, হিতেশের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরেছে সুনিধির। কিন্তু সে সব ভুয়ো খবর বলে জানান গায়িকা নিজেই। বর্তমানে কেরিয়ার, সংসার নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে সুনিধির জীবন।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :