দেশের ব্যান্ড সংগীতাঙ্গনে জনপ্রিয় এক নাম—রায়েফ আল হাসান রাফা। বহুমুখি প্রতিভায় যিনি দীর্ঘদিন ধরে দর্শক মাতিয়ে চলছেন। কখনও গিটার, কখনও গায়ক, কখনো-বা ড্রামসে ছড়িয়েছেন মুগ্ধতা। একাধিক ব্যান্ডে বাজালেও বিশেষ করে ‘অর্থহীন’ ও ‘ক্রিপটিক ফেইট’-এর সদস্য হিসেবেই সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। কয়েক বছর আগে রাফা গঠন করেছেন নিজের ব্যান্ড ‘অ্যাভয়েড রাফা’। বর্তমানে এ ব্যান্ডকে ঘিরেই রাফার ব্যস্ততা বেশি। তবে ক্রিপটিক ফেইটের সঙ্গেও এতদিন তাঁর বন্ধন ছিল অটুট। এবার জানা গেল, ক্রিপটিক ফেইটের সঙ্গে ছিন্ন হলো রাফার সম্পর্ক! ক্রিপটিক ফেইট ছাড়লেন তিনি।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্রিপটিক ফেইটের বরাতে নিশ্চিত করেছেন ভোকালিস্ট শাকিব চৌধুরী। তিনি জানালেন, দীর্ঘ ১০ বছর ব্যান্ডটিতে ছিলেন রাফা। ২০১৩ সালে শুরু হয়েছিল এই পথচলা। শাকিব বলেন, ‘গত ১০ বছরে রাফা তার ব্যান্ড অ্যাভয়েড রাফা নিয়ে একটা দারুণ ক্যারিয়ার গড়েছে। সময় এসেছে তার পুরোপুরি অ্যাভয়েড রাফা’তেই সময় দেবার। বেশ কয়েকদিন ধরে আমরা দুজনেই এটা ভাবছিলাম। আসলে অনেকদিন আগেই রাফার উচিৎ ছিল ক্রিপটিক ফেইট থেকে ছুটি নিয়ে নিজের ব্যান্ডে সময় দেয়ার। আমাদেরও উচিৎ ছিল তাকে সেটা বলার। কিন্তু একসাথে বাজিয়ে আমরা এত মজা পেতাম যে সেই আলাপ আর হয় নাই। যাই হোক, শেষমেশ হলো।’
মজা করে শাকিব আরও বললেন, ‘তাহলে কি দাঁড়ালো? খুব ভালো কিন্তু বোরিং কারণে রাফা ও ক্রিপটিক ফেইট আলাদা হয়ে গেল।’
রাফাকে নিয়ে এই দশ বছরে একটি অ্যালবাম করেছে ক্রিপটিক ফেইট। শিরোনাম ‘নয় মাস’। আগামী ডিসেম্বরে এটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। অ্যালবামটির ‘ভোরের অপেক্ষা’, ‘আক্রমণ’, ‘রাতের শেষ’ গানগুলো অবশ্য এরইমধ্যে কনসার্টে শ্রোতাদের শুনিয়েছে ক্রিপটিক ফেইট। স্ট্যাটাসে সেই বিষয়টি উল্লেখ করে রাফাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শকিব। তিনি বললেন, ‘ধন্যবাদ রাফা তোমার জীবনের দশটি মূল্যবান বছর আমাদের দেয়ার জন্য। অনেক, অনেক মজা করেছি। আর তার মাঝে একটা দুর্দান্ত অ্যালবামও করেছি। আমরা অনেক সৌভাগ্যবান। ভালো থেকো। ক্রিপটিক ফেইট সবসময় তোমার পাশে আছে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে ব্যান্ডটির ড্রামার ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ফারশেদ চাকরি নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমান। তাঁর বদলেই ড্রামার হিসেবে যোগ দেন রাফা। তখন ‘নয় মাস’ অ্যালবামটির কাজ মাঝামাঝিতে। এখন পর্যন্ত ক্রিপটিক ফেইট প্রকাশ করেছে তিনটি অ্যালবাম। এগেুলো হলো ‘এন্ডস আর ফরএভার’ (১৯৯৪), ‘শ্রেষ্ঠ’ (২০০১) ও ‘দানব’ (২০০৬)।
একুশে সংবাদ/ইন.টি/না.স
আপনার মতামত লিখুন :