অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তার সহ-অভিনেত্রী জীনাত আমান, পারভিন ববি থেকে স্মিতা পাটিলের মতো বলি তারকাদের নাম জড়িয়েছে। নায়িকাদের সঙ্গে সম্পর্ককে ঘিরে অমিতাভকে নিয়ে সমালোচনাও কিছু কম হয়নি। কিন্তু বলি অভিনেত্রী রেখার সঙ্গে অমিতাভের সম্পর্ক নিয়ে যে আলোচনা শুরু হয়েছিল তার রেশ এখনও বর্তমান।
দীর্ঘ পাঁচ দশকের ক্যরিয়ারে ২০০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন বলিউডের ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’। অভিনয়ের জন্য যেমন তিনি প্রশংসা কুড়িয়েছেন তেমনই একাধিক বার সমালোচনায়ও জড়িয়েছে তার নাম।
১৯৭৩ সালে বলি অভিনেত্রী জয়া বচ্চনের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন অমিতাভ। বিয়ের তিন বছর পর রেখার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অমিতাভ। ১৯৭৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দো অনজানে’ ছবির শুটিং চলাকালীন রেখার সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মেগাস্টার অমিতাভ। সত্তরের দশক থেকেই দুই তারকার সম্পর্ক নিয়ে শুরু হয় জলঘোলা।
অমিতাভ এবং রেখা দুজনেই তাদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে স্বীকার না করলেও একাধিক পুরনো সাক্ষাৎকারে অমিতাভের প্রতি অনুভূতি নিয়ে রেখাকে সরব হতে দেখা গিয়েছে। রেখা এক পুরনো সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন যে, অমিতাভের জন্য তার মনে অগাধ ভালবাসা এবং শ্রদ্ধা রয়েছে।
সেই সাক্ষাৎকারে রেখা জানান, তার সঙ্গে বড় পর্দায় অমিতাভকে রোম্যান্টিক দৃশ্যে অভিনয় করতে দেখে নাকি কেঁদে ফেলেছিলেন জয়া। এই ঘটনার পর অমিতাভ আর রেখার সঙ্গে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে দাবি করেন রেখা।
১৯৭৮ সালে প্রকাশ মেহরার পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘মুকাদ্দার কা সিকান্দার’ ছবিটি। এই ছবিতে অমিতাভের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন রেখা। রেখা জানান, ‘মুকাদ্দার কা সিকান্দার’ ছবির ‘ট্রায়াল শো’ চলার সময় প্রজেকশন রুমে বসেছিলেন তিনি। সামনের সারিতে বসে ছবি দেখছিলেন জয়া। জয়ার পিছনের সারিতে বাবা-মাকে নিয়ে বসেছিলেন অমিতাভ। রেখা জানান, প্রজেকশন রুম থেকে সকলকে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলেন তিনি।
‘মুকাদ্দার কা সিকান্দার’ ছবিতে রেখার সঙ্গে অমিতাভকে রোম্যান্টিক দৃশ্যে অভিনয় করতে দেখে নাকি জয়া কেঁদে ফেলেছিলেন। জয়া যে কাঁদছিলেন তা পিছনের সারিতে বসার কারণে অমিতাভ দেখতে পাননি। কিন্তু রেখা তা স্পষ্ট দেখতে পান বলে সাক্ষাৎকারে জানান অভিনেত্রী। রেখা এ-ও জানান, ‘মুকাদ্দার কা সিকান্দার’ ছবির ‘ট্রায়াল শো’-এর এক সপ্তাহ পর তিনি জানতে পারেন যে অমিতাভ আর তার সঙ্গে কোনও ছবিতে কাজ করবেন না বলে বলিউডের বিভিন্ন প্রযোজকদের জানিয়েছেন।
রেখা বলেন, ‘আমি অমিতাভকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে আমার সঙ্গে কাজ করতে না চাওয়ার কারণ কী। কিন্তু আমার প্রশ্নের কোনও উত্তর দেয়নি ও।’ রেখার প্রশ্নের উত্তরে অমিতাভ শুধু বলেন, ‘আমাকে এ বিষয়ে কিছু জিজ্ঞাসা কোরো না। আমার কিছু বলার নেই।’ অথচ বলিউডে সকলে নাকি রেখাকে গিয়ে জানাতে শুরু করেন যে অমিতাভ আর তার সঙ্গে অভিনয় করবেন না।
১৯৮১ সালে ইয়াশ চোপড়ার পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘সিলসিলা’ ছবিটি। এই ছবিতে অমিতাভ এবং জয়ার পাশাপাশি অভিনয় করতে দেখা যায় রেখাকে। বলিপাড়ার একাংশের অনুমান, তিন তারকার ত্রিকোণ প্রেমের কাহিনির উপর ভিত্তি করেই নাকি ‘সিলসিলা’ ছবির চিত্রনাট্য নির্মাণ করেছিলেন ইয়াশ চোপড়া।
শোনা যায়, ‘সিলসিলা’ ছবিতে নাকি প্রথমে অভিনয় করতে রাজি হচ্ছিলেন না জয়া। কিন্তু ছবির অন্তিম পর্বের কাহিনি শুনে নাকি মত বদলে ফেলেন অভিনেত্রী। বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ককে ঘিরে বোনা হয় ‘সিলসিলা’ ছবির চিত্রনাট্য। গল্পের শেষে নাকি স্ত্রীর কাছে ফিরে যান মূল চরিত্র। এই অংশটি জয়ার পছন্দ হওয়ায় পরে সেই ছবিতে অভিনয় করতে রাজি হন অমিতাভ-পত্নী।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :