বাংলাদেশের সিনেমার নায়ক রাজ রাজ্জাকের একটি কথা প্রায়ই এই প্রজন্মের নন্দিত নায়ক সাইমনের মাথায় থাকে। আর তা হলো নায়ক রাজ রাজ্জাক তার অভিনয় জীবনের শেষপ্রান্তে এসেও বলেছিলেন যে তিনি এখনো অভিনয় শিখছেন, অভিনয়ের অনেক কিছুই এখনো শেখার বাকী। নায়ক রাজই যদি এমন করে বলেন, সেই তুলনায় অভিনয়ে সাইমন এখনো শিক্ষানবীস, এমনটাই মনে করেন সাইমন। তারপরও যেহেতু নায়ক হিসেবে কাজ করাটাই তার পেশা, তাই চেষ্টা করছেন প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সিনেমায় কাজ করার।
কিছুদিন আগেই সাইমন সিলেটের জাফলংয়ে শুটিং করেছেন সাইফ চন্দন পরিচালিত একটি সিনেমার। এই সিনেমার বিষদ তথ্য এখনো প্রকাশ করা পরিচালকের মানা। তাই এই সিনেমা নিয়ে বেশি কিছু বলতে পারছেন না সাইমন।
এরইমধ্যে সাইমন রেজা ঘটকের পরিচালনায় শুরু করেছিলেন ‘ডোডোর গল্প’ সিনেমার কাজ। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করছিলেন জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনি। কিন্তু হঠাৎ পরীমনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় আপাতত সিনেমার শুটিং স্থগিত আছে। ডোডোর গল্প’র সিডিউল শেষ হবার পর সাইমন শুরু করবেন মিজানুর রহমান মিজানের পরিচালনায় ‘ফ্রি-ল্যান্সার’ সিনেমার তাজ। এরপর জসীম উদ্দিন জাকির’র ‘মায়া’ সিনেমার কাজ শেষ করবেন। বলা যায় একের পর এক নতুন সেইসাথে পুরোনো সিনেমার বাকী কাজ নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময়ই কাটান সাইমন।
বর্তমান প্রজন্মের নায়কদের মধ্যে ব্যক্তি জীবন, পেশাগত জীবনের পাশাপাশি মিডিয়ার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক; সবমিলিয়ে সাইমন এমন চমৎকার একটি অবস্থানে আছেন যা তার পরবর্তী নায়কদের জন্যও অনেকাংশে অনুসরণীয়। সিনেমাতে যখন আসেন সাইমন তখন তিনি তার প্রিয় নায়কদের অনুসরণ করতেন। সাইমন আজ কিছুটা হলেও সেই অবস্থানে এসেছেন যেখানে তার পেশাগত জীবন ও ব্যক্তিগত জীবন অনেকের কাছে অনুসরণীয় হয়ে উঠেছে।
এই নায়কের মুক্তির অপেক্ষায় আছে আরো বেশকিছু সিনেমা। সেগুলো হচ্ছে বদিউল আলম খোকনের ‘দায়মুক্তি’, শওকত ইসলামের ‘নদীর বুকে চাঁদ’, মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘আনন্দ অশ্রু’, শাহীন সুমনের ‘গ্যাংস্টার’, শামীম আহমেদ রনির ‘নরসুন্দরী’, অপূর্ব রানার ‘জলরঙ’ ও তার ওস্তাদ জাকির হোসেন রাজুর ‘চাদর’।
সাইমন বলেন, ‘সবার প্রথমে আমি একজন ভালো মানুষ হবার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি একজন ভালো অভিনেতা হবার চেষ্টা করছি। আমারতো মনে হয় প্রত্যেক মানুষেরই একজন ভালো মানুষ হবার পাশাপাশি তার পেশাগতকাজেও শতভাগ সফল হওয়া উচিত। আমি কতোটুকু ভালো মানুষ তা আমার আশে পাশের মানুষজন যেমন বলবেন, ঠিক তেমনি একজন অভিনেতা হিসেবে আমি কতোটা ভালো কতোটা মন্দ তাও বলবেন দর্শক। তো আমার নিজের কিন্তু চেষ্টা একটাই ভালো মানুষ হওয়া, ভালো অভিনেতা হওয়া। এর বাইরে বিকল্প কিছু নাই। জীবনে অনেক কিছু হবার প্রয়োজন নেই। নিজের সাধ্য এবং চিন্তার মধ্যে থেকে যতোটুকু ভালো করা যায় পেশাগত কাজে এবং ব্যক্তি জীবনে। এটাই জীবনের সফলতা। আমি অভিনয়টা শেখার চেষ্টা করছি, এই চেষ্টাটা প্রতিদিন প্রতিনিয়ত অব্যাহত রাখতে চাই। সবার যে ভালোবাসা পাই তাতে মাঝে মাঝে এটাই মনে হয় যে কিছুইতো করতে পারিনি, তবুও এই ভালোবাসার প্রতি অসীম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা।’
উল্লেখ্য, সাইমন মোস্তাফিুজর রহমান মানিক পরিচালিত ‘জান্নাত’ সিনেমাতে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য প্রথম সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :