এই প্রজন্মের সঙ্গীতশিল্পী আদিবা হোসাইন অর্চি। রাজধানীর সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়ছেন দশম শ্রেণিতে। আর কিছুদিন পরেই তিনি এসএসসি পরীক্ষা দিবেন। কিন্তু এরইমধ্যে অর্চি বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনের এই মুহুর্তের সবচেয়ে বড় রিয়েলিটি শো ‘সেরাকণ্ঠ ২০২৩’ এর ফাইনালে উঠেছেন তিনি।
‘সেরাকন্ঠ ২০২৩’র প্রকল্প প্রধান ইজাজ খান স্বপনের পরিচালনায় অর্চির মতো আরো ১২ জন এবারের প্রতিযোগিতায় ফাইনালে উঠে এসেছেন।
ছোট্টবেলায় অর্চির গানে হাতেখড়ি অর্নব ব্যানার্জির কাছে। তারপর তিনি সালাহউদ্দিন সান্ত¡নুর কাছে গানে তালিম নিয়েছেন। তবে যেহেতু তার মা রুমা তাপসী নিজেই একজন সঙ্গীতশিল্পী। তাই বর্তমানে মায়ের কাছেই তালিম নিয়ে নিজেকে একজন যথাযথ সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন অর্চি।
এই রিয়েলিটি শো’তে বিভিন্ন ধাপে যেসব গানে শ্রোতা দর্শক মুগ্ধ হয়েছেন সে গানগুলো হচ্ছে ‘সুরে ও বাণী’র মালা দিয়ে’, ‘ওগো মোর মধুমিতা’, ‘আজও যাদের বাবা আছে’, ‘অভিলাসী মন’, ‘আমি তোমার দু’টি চোখে’, ‘ফুলের কানে ভ্রমর এসে’ এবং সর্বশেষ ফাইনালে উঠার জন্য অর্চির কণ্ঠে শ্রোতা দর্শক উপভোগ করেছেন ‘তুমি কী সেই তুমি’ গানটি।
এবারের প্রতিযোগিতার সবচেয়ে ছোট্ট প্রতিযোগি অর্চির কণ্ঠে যে গানটি শ্রোতা দর্শকের কাছে সবচেয়ে বেশি ভালোলেগেছে এবং দর্শক শ্রোতা তার কণ্ঠে গান শূনে আবেগাপ্লুত হয়ে কেঁদেছেন সেই গানটি হলো ‘আজও যাদের বাবা আছে’ গানটি।
এটি লিখেছেন লিটন অধিকারী রিন্টু, সুর করেছেন ইজাজ খান স্বপন। অর্চি যখন এই গান গেয়েছিলেন তখন অতিথি বিচারক ছিলেন মানাম আহমেদ। এই গান শুনে মানাম আহমেদ কেঁদে ফেলেছিলেন। প্রধান বিচারক সামিনা চৌধুরী তার গাওয়া এই গান অর্চির কণ্ঠে শুনে এতোটাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন, মুগ্ধ হয়েছিলেন যে অর্চির গায়কীতে। মুগ্ধ হয়ে তার প্রতি দাঁড়িয়ে অভিবাবন জানান।
গানের ভুবনে নিজের পথচলা প্রসঙ্গে অর্চি বলেন, ‘আমার মা এবং আমার গায়ক মামা সুজন আরিফের গানের প্রতি ভালোবাসা, অধ্যবসায় দেখেই আমার গানের প্রতি আগ্রহ জন্মানো এবং আমি একজন সত্যিকারের শুদ্ধ সুরের শিল্পী হতে চাই। এর আগে কোনো প্রতিযোগিতায় আমি অংশগ্রহণ করিনি। কিন্তু প্রথম প্রতিযোগিতাতেই আমি মাননীয় বিশেষ বিচারক শ্রদ্ধেয় রুনা লায়লা ম্যাডাম, প্রধান দুই বিচারক বন্যা ম্যাম ও সামিনা ম্যামের কাছ থেকে যে অনুপ্রেরণা এবং সাহস পেয়েছি তা আমার জীবন চলার পথে অনেক বড় শক্তি হয়ে কাজ করবে। আমার আব্বু মোবারক হোসেন আমার গান সবচেয়ে বেশি শোনেন এবং উৎসাহ দেন। আর আম্মু অনেক শ্রম দেন, কষ্ট করেন। আমি যেন সবার স্বপ্ন পূরণ করতে পারি।’
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :