চট্টগ্রামের ছেলে আরাফাত বিন শাফি। বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনের আরেক বিস্ময় হতে চলেছেন তিনি। ‘সেরাকণ্ঠ ২০২৩’এর ফাইনালিস্টের একজন তিনি। শুরু থেকেই সবার দৃষ্টি আরাফাতের দিকে। তার ভয়েজটা যেমন একবারেই আনকমন ঠিক এর পাশাপাশি নিজেও একটু স্টাইলিস্টও বটে। সবমিলিয়ে এই যুগের জন্য পারফেক্ট একজন শিল্পী আরাফাত।
তার কন্ঠের মাধুর্যতায় শ্রোতা দর্শক যেমন সেরাকণ্ঠ’র বিভিন্ন পর্বে দারুণভাবে মুগ্ধ হয়েছেন ঠিক তেমনি প্রতিযোগিতার বিশেষ বিচারক, প্রধান দুই বিচারকও তার বিস্ময়কর কণ্ঠে মুগ্ধ হয়েছেন।
অথচ পরিবার থেকে শুরুতে তার গান গাওয়ায় বাধা ছিলো। আরাফাত নিজের মতো করে গাইতে পারতেন না। তার মা কোহিনূর বেগম তাকে ভীষণরকম সাপোর্ট দিতেন। তবে এই সময়ে এসে সবাই তার পাশে আছে। পরিবারের সবাই শুধু নয় এই দেশ তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে। তার সঙ্গে যারা আছেন প্রতিযোগি হিসেবে তারাও আরাফাতের ভক্ত। তাদেরও প্রত্যাশা আরাফাতকে ঘিরে যে আরাফাতই হয়তো চুড়ান্ত চমকটা দেখিয়ে দিতে পারে।
‘সেরাকণ্ঠ ২০২৩’এর শুরু থেকে সর্বশেষ ফাইনাল রাউন্ড পর্যন্ত যেসব গান গেয়ে আরাফাত মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন সেগুলো হলো ‘পরী’, ‘কেন এই নিঃসঙ্গতা’, চলে যদি যাবি দূরে’, ‘কেউ প্রেম করে’, ‘নীলা’, ‘আগুনের দিন শেষ হবে একদিন’ এবং সর্বশেষ আইয়ূব বাচ্চুর গাওয়া জনপ্রিয় ‘সুখেরই পৃথিবী সুখেরই অভিনয়’ গান গেয়ে মুগ্ধ করেন সবাইকে।
আরাফাত বলেন, ‘আমার চাচা শাহাদাৎ হোসেন সাগরের কাছে মূলত শুরুতে গান শেখা। এরপর কিছুদিন ক্ল্যাসিক্যালও শিখেছি। পরিবার থেকে কিন্তু প্রথমদিকে সাপোর্ট ছিলো না। কিন্তু আজ একটি প্লাটফরমে ভালো করছি বিধায় পরিবারের সাপোর্টটা আছে এখন। আমার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস মিমসহ সবাই এখন আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে। আমিও স্বপ্নের পথে এগিয়ে চলেছি। আমার ভীষণ প্রিয় শিল্পী অর্ণব দা। কিন্তু আমার ইচ্ছে আমার কিছু ভালো মৌলিক গান থাকুক। যেন গানশুনে শ্রোতা দর্শক বলেন-এটা আরাফাতের গান। জানিনা এই স্বপ্ন পূরণ হবে কী না, তবে আমার চেষ্টার কোনো কমতি থাকবেনা। আমি ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ আমাদের প্রতিযোগিতার দুই প্রধান বিচারক শ্রদ্ধেয় রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ম্যাম ও সামিনা চৌধুরী ম্যামের কাছে। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা শ্রদ্ধেয় রুনা লায়লা ম্যামের কাছেও। আর যার ভালোবাসায় এতোদূর এগিয়ে এসেছি তিনি হলেন আমাদের সবার প্রিয় ইজাজ খান স্বপন স্যার।’
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :