বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনের একজন ভীষণ অভিজ্ঞ, সমাদৃত ও জনপ্রিয় ড্রামার ও অক্টোপ্যাড প্লেয়ার মানিক আহমেদ। বহু আগে থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে মিউজিশিয়ান হিসেবে কাজ করলেও পেশাগতভাবে এখানে তার যাত্রা শুরু ১৯৮৯ সালে। এই পথচলায় তার পেশাগত যাত্রার শুরুতেই তিনি যার জন্য ড্রামস বাজিয়েছিলেন তিনি হলেন দিলরুবা খান। দিলরুবা খান তখন ‘পাগল মন মনরে, মন কেন এতো কথা বলে’ গানটি গেয়ে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন।
এর পাশাপাশি নানান সময়ে তিনি সৈয়দ আব্দুল হাদী, শাহনাজ রহমতুল্লাহ, রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, শাকিলা জাফর, কনকচাঁপাসহ পরবর্তী কয়েকটি প্রজন্মের শিল্পীদের সঙ্গে একজন মিউজিয়ান হিসেবে কাজ করেছেন। মাঝে মাঝে তার গানের সুরও করতে ইচ্ছে করতো। সেই ইচ্ছের প্রকাশ ঘটেছে দীর্ঘ তিন দশকেরও বেশি সময় পর একজন মিউজিসিয়ান হিসেবে কাজ করার পর।
সাম্প্রতিক সময়ে মানিক আহমেদ বেশকিছু গানের সুর করেছেন। অর্থাৎ সুর সৃষ্টি করে তিনি মিউজিকের কাজ প্রায় শেষ করেছেন। এই প্রজন্মের শিল্পী আতিয়া আনিসা, অনন্যা আচার্য্য এবং এবারের সেরাকণ্ঠের ফাইনালে উঠে আসা চট্টগ্রামের আরাফাত ও ময়মনসিংহের রনির জন্য গান করছেন। তবে এই সুর করা গান নিয়ে কে গীতি কবিতা লিখবেন তা এখনো চুড়ান্ত করেননি মানিক আহমেদ।
দীর্ঘ তিন দশকেরও বেশি সময় একজন মিউজিসিয়ান হিসেবে কাজ করা এবং সুরকার হিসেবে যাত্রা শুরু প্রসঙ্গে মানিক আহমেদ বলেন, ‘শুরুতেই মহান আল্লাহর কাছে অসীম কৃতজ্ঞতা। কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি আমার গুরু সাত্তার ভাইয়ের কাছে এবং স্বর্গীয় সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক শ্রদ্ধেয় সমর দাসের কাছে; যার হাত ধরেই আমি বিটিভিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। এরপর থেকে আমি আমার নিজের চেষ্টায় এবং সকল শিল্পীদের সহযোগিতায় আমি আজকের অবস্থানে আসতে পেরেছি। সঙ্গীতাঙ্গনের সবাই আমাকে এক নামে চিনেন এবং আমাকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে জানেন-এটাই আমার অনেক বড় প্রাপ্তি। আমার ছোট ভাই হানিফও একজন অক্টোপ্যাড প্লেয়ার ছিলো। সে তো সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলো। ছোট ভাই হাসানও একজন মিউজিশিয়ান। তো সুর করেছি আসলে অনেকটাই শখের বশে। তবে যা করেছি তা এই প্রজন্মের শিল্পীদের ভাবনা মাথায় রেখেই। আশা করছি আমার সুর শ্যোতা দর্শকের মন ছুঁয়ে যাবে।’
মানিক জানান দেশের বাইরে তিনি প্রথম শো করেন মালয়েশিয়াতে। বাংলাদেশের বিভিন্ন শিল্পী ছাড়াও ভারতের বাপ্পি লাহিড়ী, কুমার শানু, সোনু নিগম, শান’সহ আরো অনেক ভারতীয় শিল্পীর সঙ্গে তিনি একজন মিউজিসিয়ান হিসেবে কাজ করে দেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছেন।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :