ঢালিউডের এক সময়ের আলোচিত-সমালোচিত নায়িকা সাদিকা পারভিন পপি। নির্মাতা মমতাজুর রহমান আকবরের ‘কুলি’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন এই নায়িকা। এরপর দর্শকদের উপহার দিয়েছেন অনেক সুপারহিট ছবি। কাজের সম্মাননা হিসেবে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সহ আরো বেশ কিছু পুরস্কার রয়েছে তার ঝুলিতে।
তবে গেল কয়েক বছর ধরে জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করে নিজেকে আড়ালে রেখেছেন তিনি। হাতেগোনা ঘনিষ্ট দু-একজন ছাড়া কেউ জানে না তার খোঁজ। বন্ধু, সহকর্মী, সংবাদকর্মী- কেউই তার নাগাল পাচ্ছেন না। এমনকি পপির পরিবারের লোকেরাও জানেন না তার হদিস।
এদিকে পপির ক্যারিয়ারের প্রথম ছবি কুলির কোরিওগ্রাফার ইউসুফ খান জানালেন কিছু অজানা কথা। তিনি জানান, পপি তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘কুলি’ ছবির শুটিং করতে গিয়ে বেশ নার্ভাস ছিলেন। কেননা শুরুতেই তার নায়ক হিসেবে ছিলেন ওমর সানী।
একসময় পপি বেশ সমালোচিত হয়েছিল চলচ্চিত্রে খোলামেলা পোশাক পড়ার কারণে। প্রথম ছবিতেই বেশ কয়েকটি গানে তাকে অনেক বেশী খোলামেলা পোশাকে দেখা যায়। এর কারণ জানতে চাইলে নৃত্যপরিচালক ইউসুফ খান জানান, আসলে নির্মাতা যেমনটা চেয়েছিল আমরা তেমন ভাবেই ড্রেস পড়িয়ে কোরিওগ্রাফি করেছি। আর এইসব বিষয় নিয়ে পপিও কোনোদিন আপত্তি করেনি। কাজের ব্যাপারে সব সময় নিজের সেরাটা দিয়েছেন তিনি।
নৃত্যপরিচালক আরো বলেন, নির্মাতা যা চাইতো তার থেকে অনেক বেশী দেওয়ার চেষ্টা করতো সে। পাশাপাশি সেও যেহেতু নতুন ছিল তাই হয়তো নিজের গ্ল্যামার দর্শকদের দেখাতেই একটু চলচ্চিত্রে খোলামেলা পোশাক পরতেন তিনি। তবে পর্দার পপি ও বাস্তব জীবনের পপির মাঝে অনেক পার্থক্য।
প্রসঙ্গত, একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরিচিতি লাভ করেন পপি। ১৯৯৭ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’ সিনেমাতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন তিনি। কিন্তু তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘কুলি’। এই চলচ্চিত্রে তার বিপরীতে অভিনয় করেন ওমর সানী। সিনেমাটি সেই সময়ে ৭ কোটি টাকা ব্যবসা করে মাইলফলক তৈরি করে।
এরপর ১৯৯৮ সালে রিয়াজের বিপরীতে ‘বিদ্রোহ চারিদিকে’, ১৯৯৯ সালে মান্নার বিপরীতে ‘কে আমার বাবা’ ও ‘লাল বাদশা’, ২০০২ সালে কমল সরকার পরিচালিত ‘ক্ষেপা বাসু’ ও বাবুল রেজার ‘ওদের ধর’ সিনেমাগুলো ব্যবসাসফল হয়।
মান্না প্রযোজিত ‘লাল বাদশা’ সিনেমা ব্যবসা সফল হয় ও তার অভিনয় জীবনে বড় পরিবর্তন নিয়ে আসে। একে একে তার সঙ্গে অভিনয় করেন ২২টি সিনেমায়। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি পপি টেলিভিশন নাটক ও টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন।
পপি আড়াল থাকার কারণে আটকে আছে কয়েকটি সিনেমা। তার মধ্যে রয়েছে- রাজু আলীম ও মাসুমা তানি পরিচালিত ‘ভালোবাসার প্রজাপতি’ ও আরিফুর জামান আরিফের ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ সিনেমা।
একুশে সংবাদ/ডে.বা/না.স
আপনার মতামত লিখুন :