ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রেমিক মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক ক্ষুদেবার্তায় শুক্রবার র্যাব তাকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানায়। তবে কখন কোথা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
এদিকে হুমায়রা হিমুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। তাঁর মৃত্যু ঘিরে দেখা দিয়েছে রহস্য। অভিনেত্রীর গলায় রশির দাগ পাওয়া গেছে।
উত্তরা পশ্চিম থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মাসুদা খাতুন জানান, বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে অভিনেত্রীর লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। তাঁর গলায় রশির দাগ পাওয়া গেছে। পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হিমুকে উত্তরার আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় প্রেমিক জিয়াউল ও মেকআপ আর্টিস্ট মিহির। তখনই কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরই হিমুর মোবাইল ফোনসহ গায়েব হন জিয়াউল।
হুমায়রা হিমু ১৯৮৫ সালের ২৩ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইস্পাহানি কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। হিমু ইডেন মহিলা কলেজে ভর্তি হন এবং এ কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। মঞ্চনাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি প্রথম নাট্য জগতে প্রবেশ করেন। ২০০৬-এ হুমায়রা হিমুর প্রথম নাটক ‘ছায়াবীথি’ প্রচারিত হয়। একই বছর পিআই (প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর) নামের একটি সিরিয়াল নাটকেও অভিনয় করেন। এরপরে তিনি ‘বাড়ি বাড়ি সারি সারি’, ‘হাউজফুল’, ‘গুলশান এভিনিউ’ সহ অনেক জনপ্রিয় নাটকে অভিনয় করেন।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :