ভারতের খ্যাতিমান অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি একজন সমাজ সংগঠক, উদ্যেক্তা ও রাজনীতিবিদও। বলিউডের এই সুপারস্টারের জন্ম বাংলাদেশের বরিশালে। তিনি ভারতের সব মিডিয়া অঙ্গনের অতি জনপ্রিয় মুখ। সম্প্রতি মিঠুন চক্রবর্তী বলেছেন, প্রেমে ব্যর্থতার কারণেই তারকা থেকে সুপারস্টার হতে পেরেছেন তিনি।
ভারতের একটি সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায়, মন ভাঙা, বিচ্ছেদ সবার জীবনেই থাকে। কিন্তু এই ঘটনাগুলোই মিঠুন চক্রবর্তীকে ঘুরে দাঁড়াতে, সফলতার শীর্ষে পৌঁছাতে সাহায্য করেছিল।
কলকাতার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ডান্স বাংলা ডান্সে মহাগুরুর আসনে বসে তিনি চমক তৈরি করেন। তবে সদ্য শেষ হয়েছে এই রিয়েলিটি শো। তারপরই মিঠুনকে দেখা গেল জি টিভির সারেগামাপাতে। হিন্দির এই রিয়েলিটি শোতে সম্প্রতি মিঠুন দা স্পেশাল পর্বের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে গিয়ে একাধিক বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
সেখানে অন্যতম বিচারক আনু মালিক মিঠুনের অভিনয় নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন ‘প্রেম প্রতিজ্ঞা’ ছবিতে মিঠুনের অভিনয়ের তুমুল প্রশংসা করেন। বলেন, ‘তিনি এখানে দারুণভাবে ভালোবাসা, বিচ্ছেদসহ সমস্ত জিনিস ফুটিয়ে তুলেছিলেন।’
প্রেম নিয়ে মিঠুন সেখানে বলেন, ‘তার জীবনে একাধিক প্রেম আসে। তবে তিনি যতই ভালোবাসুন না কেন শেষ পর্যন্ত সেই সম্পর্ক টেকেনি। বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাদের। তার কথায়, `সকলেই কঠিন পরিস্থিতি দিয়ে যায় কিন্তু আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি ভালোবাসা এবং উত্তরে ভালোবাসা না পাওয়া কিন্তু দারুণ একটা বিষয়।’
এই মহাতারকা আরও জানান, ‘আমিও এমন একটা পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলাম। ভীষণ ভালবাসতাম, কিন্তু সে আমায় ছেড়ে চলে যায়। ওই সময়টাই আমায় সাহায্য করে ঘুরে দাঁড়াতে। আমি একজন সাধারণ অভিনেতা থেকে সুপারস্টার হয়ে উঠলাম। আজকাল লোকজন আমায় লিভিং লিজেন্ড বলে।’
তিনি আরও জানান, `অনেক দিন পর ট্রেনে সেই ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে একবার দেখা হয়েছিল। ও আমায় দেখে লুকানোর চেষ্টা করছিল, কিন্তু আমি ওকে ডেকে বলি ওর সেই সিদ্ধান্তের জন্যই আমি আজ আমি হয়ে উঠতে পেরেছি। ওর জন্যই আমার জেদ চেপে গিয়েছিল।`
মিঠুন চক্রবর্তী বাংলাদেশের বরিশালে বাঙালি হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বরিশাল জেলা স্কুলে পড়েছিলেন। কলকাতায় ওরিয়েন্টাল সেমিনারি স্কুলে ভর্তি হন ১৯৫৬ সালে। ওই স্কুল থেকেই উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। পরবর্তীতে কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজে রসায়নে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়াও ফিল্ম অ্যাণ্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইণ্ডিয়া (এফটিআইআই) থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেন।
তিনি জনপ্রিয় পরিচালক মৃণাল সেনের পরিচালনায় ‘মৃগয়া’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রূপালী জগতে প্রবেশ করেন। অসামান্য অভিনয় নৈপুণ্যের জন্য এ ছবির মাধ্যমে তিনি সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
এ পর্যন্ত তিনি ৩০০ টিরও অধিক হিন্দী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এছাড়াও, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলা, পাঞ্জাবী, তেলুগু, ওড়িয়া, ভোজপুরী চলচ্চিত্রেও অংশ নিয়েছেন। তিনি মনার্ক গ্রুপের স্বত্ত্বাধিকারী, যা অতিথি সেবায় নিয়োজিত রয়েছে।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :