ঢাকাই চলচ্চিত্রের প্রিয়দর্শিনী’ খ্যাত নায়িকা মৌসুমী কিছুদিন আগেই একটি শো’তে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টাতে মা, ভাই বোনের সঙ্গে আছেন। প্রতিবছরই মৌসুমী তার জন্মদিন বড় করেই হোক কিংবা ছোট্ট পরিসরেই হোক তার কাছের মানুষদের নিয়ে উদযাপন করেন। কিন্তু এবার ঢাকায় না থাকায় ঢাকায় ঠিক সেভাবে জন্মদিন উদযাপনের কোনো আয়োজন না থাকলেও মৌসুমীর স্বামী নায়ক ওমর সানী জানান তার আয়োজনে কিছু কাছের মানুষদের নিয়ে ‘চাপওয়ালা’য় ছোট্ট আয়োজন থাকতে পারে।
এদিকে মায়ের সঙ্গে জন্মদিন উদযাপনের সুযোগ পেয়ে বেশ উচ্ছসিত প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী।
মৌসুমী বলেন, ‘যেকোনো কারণেই হোক আল্লাহ এই সময়টাতে আমাকে যুক্তরাষ্ট্র থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ। আমি কিছুদিন আগেই ঢাকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসি। এখানে এসে একটি শো’তে অংশগ্রহণ করি। বর্তমানে মা ভাই বোনের সঙ্গেই আছি আটলান্টায়। ভাই বোনদের সঙ্গে থাকলে যা হয় আর কী। হয়তো ওরাই নিজেরা নিজেরা কিছু প্ল্যান করছে যা আমি জানিনা। তবে আমার ভালোলাগা এটাই যে আমি আমার মায়ের সঙ্গে আছি, ভাই বোনের সঙ্গে আছি। সঙ্গে আমার মেয়েও আছে। হ্যাঁ, এটাও সত্যি সানীকে খুব মিস করছি, আমার ছেলে ফারদিনকেও খুব মিস করছি। ওরা যে আমার এই দিনটিতে আমাকে মিস করবে এটা আমি অনুভব করতে পারি। তারপরও সবতো আল্লাহর ইচ্ছে। সবাই শুধু দোয়া করবেন আল্লাহ যেন আমাদের ভালো রাখেন, সুস্থ রাখেন। আর আমার ভক্ত দর্শকের কাছে দোয়া চাই যেন আমি সময়মতো ঠিকঠাকভাবে দেশে ফিরতে পারি। সংবাদ মাধ্যমের সকলের জন্য রইলো শুভ কামনা।’
মৌসুমী যুক্তরাষ্ট্রে যাবার আগে শেষ করেছেন ‘সোনার চর’ সিনেমার ডাবিংয়ের কাজ। মৌসুমী অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত দু’টি সিনেমা হচ্ছে আশুতোষ সুজনের ‘দেশান্তর’ ও মির্জা সাখাওয়াত হোসেন পরিচালিত ‘ভাঙ্গন’। সর্বশেষ তিনি তোহা মোরশেদের পরিচালনায় একটি তেলের বিজ্ঞাপনেও মডেল হিসেবে কাজ করেন।
প্রয়াত সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমায় নায়িকা হিসেবে তার অভিষেক ঘটে ১৯৯৩ সালের ২৫ মার্চ। অভিনয়ের পথচলার পঁচিশ বছরে মৌসুমী অনেক দর্শকপ্রিয় চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন। পেয়েছেন তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। আবার মৌসুমী নিজেও চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন।
মৌসুমী বলেন, আজ ভীষণভাবে মনে পড়ছে আব্বুর কথা। মনে পড়ছে আমার প্রথম চলচ্চিত্রের হিরো সালমানের এবং মান্না ভাইয়ের কথা। কৃতজ্ঞ ফটোগ্রাফার চঞ্চল মাহমুদ ভাইয়ের কাছে যার ক্যামেরা দিয়ে আমাকে প্রথম দেখেন এবং পরবর্তীতে রফিকুর রহমান রেকু ভাইয়ের কথা। কৃতজ্ঞ ক্যাসেন্ড্রা লিমিটেডর প্রধান শাকিব লোহানী, পরিচালক সোহান ভাই, যাদের চলচ্চিত্রে অভিনয় করে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি প্রয়াত শ্রদ্ধেয় চাষী ভাই, নারগিস আপা এবং রাজ’র প্রতি। কৃতজ্ঞ পাঠকপ্রিয় ম্যাগাজিন আনন্দ বিচিত্রা, সিনেমা, প্রিয়জন, চিত্রালী এবং সাংবাদিক বড় ভাই প্রয়াত শ্রদ্ধেয় আওলাদ ভাই। আমার মা, দুই বোন ইরিন, স্নিগ্ধা আমার পাশে থেকেছে সবসময়। আর যে মানুষটির ভালোবাসায় এবং সহযোগিতায় আমি পরিপূর্ণ তিনি আমার সকল সুখ দুঃখের সাথী আমার স্বামী ওমর সানী।’
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :