উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার রুনা লায়লার জন্মদিন আগামী ১৭ নভেম্বর। গেলো বছর তার জন্মদিন উপলক্ষ্যে ‘মাদিহা মার্সিহা অ্যাডভারটাইজিং’এর আয়োজনে রুনা লায়লার ৭০’তম জন্মদিন উদযাপিত হয়েছিলো। সাংবাদিক অভি মঈনুদ্দীনের উদ্যোগে রুনা লায়লার ৭০’তম জন্মদিন উদযাপিত হয়। তবে এবার জন্মদিনের সময়টাতে তিনি ঢাকায় থাকছেন না। যে কারণে ‘চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ ২০২৩’এর প্রকল্প প্রধান ও অনুষ্ঠান পরিচালক ইজাজ খান স্বপন এখন পর্যন্ত ফাইনালে উঠে আসার তেরো জন প্রতিযোগিকে নিয়ে এবারের প্রতিযোগিতার বিশেষ বিচারক রুনা লায়লা’র জন্য বিশেষ একটা কিছু করতে যাচ্ছেন।
স্বপন বলেন, ‘শুধু আমাদের অনুষ্ঠানের বিশেষ বিচারক বলেই নয়, রুনা আপাতো আমাদের দেশের গর্ব, উপমহাদেশের গর্ব। এমন একজন সঙ্গীত ব্যক্তিত্বকে নিয়ে আমি আমরা কিছু একটা করতে যাচ্ছি এবারের চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ’র ফাইনালে উঠে আসা সবাইকে নিয়ে। আমরা শনিবার রুনা আপার কাছে যাবো। তবে কী করতে যাচ্ছি তা আগে থেকেই বলতে চাচ্ছিনা। রুনা আপার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা। তিনি আমাদের সঙ্গে আাছেন এই আয়োজনে এটা সত্যিই আমাদের জন্য অনেক বড় কিছু, অবশ্যই অনেক বড় প্রাপ্তিও বটে।’
রুনা লায়লার আধুনিক, ফোক, চলচ্চিত্রের গান ও অন্যান্য ঘরানার সঙ্গীত পরিবেশনা সাংস্কৃতিক উপাদানের সাথে মিশে থাকে যেমন তার সঙ্গীতে বাউল ঐতিহ্যের ব্যবহার উল্লেখ করার মতো। বাউল হল বাংলাদেশের লোকসংগীতের একটি রূপ যা বাংলায় উদ্ভূত হয়েছে এবং এর ঐতিহ্যবাহী গান, একতারা, দোতারা এবং ঢোলের মতো ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার করা হয়। রুনা লায়লা তার সঙ্গীতে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বাউল উপাদানগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে, যা তার সঙ্গীতকে একটি স্বতন্ত্র বাংলা স্বাদ দেয়। তার সাংস্কৃতিক তাৎ্পর্য ছাড়াও, রুনা লায়লা বাংলা সঙ্গীত শিল্পে অনেক সাফল্য অর্জন করেছে। রুনা লায়লা অসংখ্য পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন এবং তার সঙ্গীত সমালোচক এবং অনুরাগীদের কাছ থেকে ইতিবাচক পর্যালোচনা পেয়েছে।
সাংস্কৃতিকভাবে অনন্য রুনা লায়লা সমাজকে অনেক কিছু দিয়েছেন তার গানের মাধ্যমে। রুনা লায়লা তার সঙ্গীতে মানুষকে একত্রিত করার এবং বিভিন্ন সংস্কৃতির বোঝাপড়া এবং উপলদ্ধি প্রচার করার ক্ষমতা দেখিয়েছেন। উপরন্তু, রুনা লায়লা সামাজিকভাবে সচেতন গানের জন্য পরিচিত, যা প্রায়শই দারিদ্র্য, অসমতা এবং পরিবেশগত সমস্যাগুলির মতো বিষয়গুলিকে স্পর্শ করে। তার সঙ্গীতকে প্রায়শই বাংলাদেশি জনগণের সংগ্রাম ও আকাঙ্খার প্রতিফলন হিসেবে দেখা হয়, যা তার শ্রোতাদের কাছে সাংস্কৃতিকভাবে অনন্য করে তোলে।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :