বলিউডের অন্যতম নামজাদা তারকাসন্তান জাহ্নবী কাপূর। ২০১৮ সালে ‘ধড়ক’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেকের পর পাঁচ বছরে ধীরে ধীরে বলিপাড়ার পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন জাহ্নবী। শ্রীদেবী ও বনি কাপূরের মতো তারকার সন্তান হওয়ার সুবাদে বলিউডে অভিষেকের পর থেকে একের পর এক ছবিতে কাজ করেছেন তিনি।
তবে তার অভিনয় জীবনের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই বেশি উৎসাহী দর্শক ও অনুরাগীরা। বিশেষ করে, তার প্রেম জীবন সর্বক্ষণই আলোচনায় থাকে। প্রথম ছবিতে অভিনয় করার পরেই অভিনেতা ঈশান খট্টরের সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল জাহ্নবীর।
তবে জল্পনা এই যে, সেই অধ্যায়ের ইতি ঘটেছে বহু আগেই। গত কয়েক মাস ধরে শিখর পাহাড়িয়ার সঙ্গে প্রেম করছেন অভিনেত্রী। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক বার একসঙ্গে দেখাও গিয়েছে জাহ্নবী ও শিখরকে। এমনকি, একসঙ্গে ছুটি কাটাতেও গিয়েছেন চর্চিত যুগল।
এবার সপ্তাহান্তে লাল পোশাকে সেজে শিখরের সঙ্গে লাঞ্চ ডেটে গেলেন জাহ্নবী। সেখানেই শেষ নয়, সেই দিনই রাতে বলিউডের জনপ্রিয় পোশাকশিল্পী মণীশ মলহোত্রের দীপাবলির পার্টিতেও দেখা গেল তাঁদের।
দিন কয়েক আগে এক অনুষ্ঠানে লাল গালিচায় শিখরের সঙ্গে ছবি তোলেন জাহ্নবীর বাবা বনি নিজে। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরেই কানাঘুষো শোনা যায়, পরিবারের সিলমোহর নাকি ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছেন জাহ্নবী ও শিখর। তার দিন কয়েকের মধ্যে একই দিনে দুবার জনসমক্ষে এলেন চর্চিত যুগল। দুপুরে শিখরের সঙ্গেই ডেটে যান জাহ্নবী।
লাল পোশাক পরিহিত অভিনেত্রীকে প্রেমের ব্যাপারে প্রশ্ন করতেই তার চোখমুখে লালচে আভা। সেই দিন রাতেই মণীশের পার্টিতেও তারই পোশাকে সেজে গেলেন ‘বাওয়াল’ অভিনেত্রী। পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন শিখরও। পার্টিতে ঢোকার সময় লাল গালিচায় একসঙ্গে ফ্রেমে ধরা না দিলেও পার্টি থেকে শিখরের সঙ্গেই বেরোলেন জাহ্নবী। এমনকি, জাহ্নবী ছবি তুলতে ব্যস্ত থাকায় তাঁর জন্য গাড়িতে বসে অপেক্ষাও করেন শিখর।
মহারাষ্ট্রের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডের নাতি শিখর। মাসখানেক আগে তার সঙ্গে তিরুপতি মন্দিরে পুঁজা দিতে গিয়েছিলেন জাহ্নবী। পরনে শাড়ি, পরিপাটি করে বাধা চুল। সঙ্গে ছিলেন শিখর। অভিনেত্রীর হাতে দেখা মিলেছিল হিরের আংটিরও। তখনই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, শিখরের সঙ্গে নাকি আংটিবদল সেরে নিয়েছেন ‘বাওয়াল’ খ্যাত অভিনেত্রী। তার দিন কয়েক পরে অম্বানীদের বাড়ির গণপতি বিসর্জনে শিখরকে পাশে নিয়েই দেদার নাচও করেন জাহ্নবী। সূত্র : আনন্দবাজার
একুশে সংবাদ/এনএস/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :