আমদাবাদে নরেন্দ্র মোদীর নামাঙ্কিত স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাস্ত হয় ভারত। ১ লক্ষ ৩২ হাজার দর্শকের স্টেডিয়ামে সে দিন সাধারণ মানুষ থেকে বলিউড তারকা- সকলেই ছিলেন। তেমনই খেলা দেখতে মাঠে হাজির হন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
রাত ৮.৩০টা নাগাদ যখন স্টেডিয়ামে ঢুকলেন, তখন থেকেই প্রায় স্পষ্ট হচ্ছে খেলার ভবিষ্যৎ। মোদী মাঠে আসার পর ক্ষণিকের মধ্যে নির্ধারিত হয়ে গেল টিম ইন্ডিয়ার ভাগ্য। প্রায় ফাঁকা মাঠে প্যাট কামিন্সের হাতে ট্রফি তুলে দেন মোদী। যদিও ম্যাচ হারার পর ভারতীয় দলের সাজঘরে গিয়ে খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করেন। তবে তাতেও কাজ হয়নি। ততক্ষণে শুরু হয়ে গিয়েছে সােশাল মিডিয়ায় ট্রোলিং।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে রীতিমতো ‘অপয়া’ তকমা দিয়েছেন নেটাগরিকরা। সোশাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং হয় ‘পনৌতি’ হ্যাশট্যাগ। মোদীকে নিয়ে এমন ব্যঙ্গবিদ্রুপে চটে লাল কঙ্গনা রানাউত। মোদীর হয়ে মাঠে নামলেন বলিউড অভিনেত্রী।
বরাবরই মোদী ও গেরুয়া শিবিরের প্রতি নিজের আনুগত্য দেখিয়েছেন কঙ্গনা। মোদীর জন্মদিনে তাকে ‘নতুন ভারতের বিশ্বকর্মা’র আখ্যা দেন অভিনেত্রী। প্রধানমন্ত্রী বললে তিনি ভোটেও পর্যন্ত দাঁড়াতে রাজি। তাই ভারতের বিশ্বকাপ হারের পর যারা প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনায় নামেন, তাদের জন্য ‘রণং দেহি’ রূপ ধারণ করলেন অভিনেত্রী।
সোশাল মিডিয়ার পাতায় কঙ্গনা লেখেন, ‘যারা প্রধানমন্ত্রীকে অপয়া বলছেন, তাদের কিছু সত্যি বলি এবার। তিনি আজ পর্যন্ত যা ছুঁয়েছেন, তাই সোনা হয়েছে। উনি এমনই একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, যিনি কখনও নির্বাচনে হারেননি। তার নেতৃত্বেই গুজরাত এত উন্নতি করেছে। ওঁর নেতৃত্বে এ বার ভারতের অর্থনীতি ৪ ট্রিলিয়ন ছুঁয়ে ফেলবে। রাজনীতিতেও এ রকম কুৎসা রটানো উচিত নয়।’
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :