ভারতের জি-বাংলা আয়োজিত সারেগামা রিয়েলিটি শোতে অংশ নিয়ে পরিচিত পান নোবেল। সেই থেকে বাংলাদেশ তো বটেই বিভিন্ন দেশ থেকেও অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ডাক আসে। কিন্তু এক পর্যায়ে নিজেকে সামলে রাখতে ব্যর্থ হন নোবেল। হয়ে পড়েন বেসামাল। যা দেশের সাংস্কৃতিক অংগনের সম্ভবনামুখ থেকে ছিটকে পড়তে বেশি সময় লাগেনি।
বিভিন্ন স্থানে কনসার্টে অংশ নিতে গিয়ে জন্মদেন নানা সমালোচনার। এমনকি মদ্যপ অবস্থায় স্টেজ প্রোগ্রাম করতে গিয়ে ভালোবাসার বদলে দর্শকরা তাকে জুতা ছুঁড়ে মারার ঘটনাও ঘটেছে।
শুধু তাই, কনসার্ট না করে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলের বিরুদ্ধে ঠুকে দেওয়া হয় মামলা। অবশেষে সেই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালত যাচ্ছে ৩০ জানুয়ারি।
অবশ্য মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না হওয়ায় নতুন করে দিন ধার্য করে দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট
রাজেশ চৌধুরী।
এর আগে গত ২২ মে বাদীকে কনসার্টের ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেওয়ার শর্তে জামিন পান নোবেল। এরপর নিজের ভুলের জন্য সবার কাছে ক্ষমা চান দুই বাংলার জনপ্রিয় গায়ক নোবেল।
জানা যায়, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাইতে না গিয়ে ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা প্রতারণার অভিযোগে গত ১৬ মে রাজধানীর মতিঝিল থানায় শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬ এর প্রতিনিধি মো. সাফায়েত ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ এপ্রিল শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬ এর প্রথম পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়। এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য গত ২৫ মার্চ আসামি নোবেলের সঙ্গে মোট এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা ঠিক করেন বাদী। তখন নোবেলকে নগদ ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এসময় নোবেল অনুষ্ঠানের পূর্বেই অবশিষ্ট টাকা পরিশোধ করতে হবে বলে জানান এবং তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, পরে এসএসসি ব্যাচের সদস্যদের থেকে টাকা সংগ্রহ করে গত ৩০ মার্চ সিটি ব্যাংক এটিএম বুথ শরীয়তপুর ব্রাঞ্চ থেকে ৪৭ হাজার টাকা পাঠানো হয়। এরপর গত ১৪ এপ্রিল একই ব্রাঞ্চ থেকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা নোবেলের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। অনুষ্ঠান উপলক্ষে তাকে সর্বমোট এক লাখ ৭২ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। তবে নোবেল অনুষ্ঠানে না গিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেন।
একুশে সংবাদ/এএইচবি/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :