বাংলাদেশে এই প্রজন্মের অন্যতম সেরা এবং জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুল। এবারই প্রথম তার সঙ্গীত জীবনের স্টেজ শোর ক্ষেত্রে ঘটেছে এক অনন্য রেকর্ড। গেলো ৭ ও ৮ ডিসেম্বর সৌদি আরবের রিয়াদে ‘রিয়াদ সিজন বিগটাইম’ শোতে ইমরান যে পারফর্ম করেছেন, তা আগে থেকেই ঘোষণা দেয়া হয়েছিলো। যে কারণে বিশেষত বাংলা ভাষাভাষী শ্রোতা দর্শক ইমরানের এই শো উপভোগ করার জন্য বলা যায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন।
প্রথম দিন অর্থাৎ ৭ ডিসেম্বর যে পার্কে ইমরানের গান গাইবার কথা, সেই পার্কে আয়োজকদের ধারনা ছিলো ২০ থেকে ৩০ হাজার দর্শক হবেন। কিন্তু দর্শক হয়ে যায় দুই লাখেরও বেশি। পুলিশ না থাকার কারণে সিকিউরিটি ইস্যু কারণ দেখিয়ে তখনই সৌদি সরকার সেই শো বাতিল করেন। পরেরদিন পুলিশসহ অন্যান্য সিকিউরিটি বাড়িয়ে ইমরানের শোর আয়োজন করা হয়। পার্কের ভেতরে প্রায় তিন লাখ দর্শক ইমরানের গান সরাসরি শুনতে পারেন। বাইরে অপেক্ষমান দর্শক ছিলেন আরো প্রায় দুই লাখেরও বেশি।
আয়োজকরা ভাবেতও পারেননি ইমরানের শো’কে ঘিরে এমনটা হবে। আয়োজকরা চেয়েওছিলেন যেন দু’টি সিজনে ইমরান শো করেন। কারণ দর্শকের কাছ থেকে বিশেষ অনুরোধও ছিলো। কিন্তু ইমরান ও তার টিম’র কোনো উপায়ও ছিলোনা। শেষ পর্যন্ত পার্কের মধ্যে প্রায় তিন লাখ এবং পার্কের বাইরে থাকা দুই লাখেরও বেশি দর্শক ইমরানের শো উপভোগ করেন। ইমরানের গাওয়া প্রতিটি গানের সাথে তারা নিজেরা গেয়েছেন, নেচেছেন এবং মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে এক অন্যরকম পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিলো রিয়াদের এই শো’তে।
ইমরানের ভাষ্যমতে এটি তার সঙ্গীত জীবনের রেকর্ড। ইমরান বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমি শো করেছি। কিন্তু দর্শকের প্রচুর সমাগমের কারণে সিকিউরিটি ইস্যু দেখিয়ে শো বাতিল হয়ে পরেরদিন আবার নিরাপত্তা বাড়িয়ে শো করা এটা আমার সঙ্গীত জীবনে প্রথম। আমার স্টেজ শোর ইতিহাসে এটা ছিলো হিস্টোরিক্যাল ক্রাউড। আমার গান শোনাকে ঘিরে এতো মানুষের ভীড়, এতো মানুষের ভালোবাসা- আমার নিজের চোখের সামনেই ঘটে যাওয়া এই অবিস্মরণীয় দৃশ্য আমাকে একজন বাংলাদেশি হিসেবে ভীষণ গর্বিত করেছে। আজীবন এই গর্বিত সময়টার কথা মনে থাকবে। সত্যিই আমি ভীষণ সৌভাগ্যবান।’
শো শেষে আজ দেশে ফিরছেন ইমরান। উল্লেখ্য, যথারীতি ইমরানের সঙ্গে যন্ত্রশিল্পী হিসেবে ছিরেন ড্রামসে সজল কুমার সাহা, লিড গীটারে অভিজিৎ চক্রবর্তী জিতু, কী-বোর্ডে কাইয়ূম খান ও বেজ গীটারে জাহাঙ্গীর আলম জনি।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :