মামুনুর রশীদ নির্দেশিত ‘রাড়াং’ নামক আলোচিত মঞ্চ নাটকের টানা দু’দিনে কলকাতায় ছয়বার এই নাটকের মঞ্চায়নে অভিনয় করেছেন। কলকাতার দর্শকের মঞ্চ নাটকের প্রতি ব্যাপক আগ্রহ চঞ্চল চৌধুরীকে ভীষণ আবেগাপ্লুত করেছে, মুগ্ধ করেছে।
যেখানে দু’দিনে চারটি শো হবার কথা ছিলো সেখানে দর্শকের প্রবল চাপে এবং আগ্রহে সেখানে আরো দু’টি শো বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন নির্দেশক মামুনুর রশীদ। চঞ্চল চৌধুরী’র ‘হাওয়া’ সিনেমা দেখার জন্য যেমন সকাল থেকেই টিকেট কাটতে দর্শকের লাইন ছিলো। অনুরূপভাবে ‘রাঢ়াং’ উপভোগ করার জন্যও ঠিক এমন লাইনে দাঁড়াতে হয়েছিলো দর্শককে।
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমি আমার নাট্যগুরু শ্রদ্ধেয় মামুনুর রশীদ ভাইকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে ঢাকার বাইরে বিশেষত কলকাতায় রাঢ়াং বা অন্য কোনো মঞ্চ নাটক নিয়ে দর্শকের এমন উপচে পড়া ভীড় ছিলো কী না। তিনি বললেন, না-এমন দৃশ্য কখনো চোখে পড়েনি। বিষয়টা আমার মনে দাগ কেটেছে। দু’দিনে ছয়টা শো করতে আমাদের খুব কষ্ট হয়েছে। কিন্তু দর্শককে’তো আনন্দ দিতে পেরেছি। এটা সত্যি যে একজন সত্যিকারের অভিনেতা হতে হলে মঞ্চে অভিনয় করাটা ভীষণ জরুরী। মঞ্চে অভিনয়ের চর্চাটা না থাকলে আমরা আগামী দিনে সিনেমাতে, নাটকে এমনকী ওটিটি প্লাটফরমে সত্যিকারের জাত অভিনেতা সৃষ্টি থেকে বঞ্চিত হবো। তাই মঞ্চের প্রতি অভিনয় শিল্পীদের মনোযোগ বাড়াতে হবে। আমিও সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী বছর থেকে মাসে অন্ততঃ একবার হলেও মঞ্চে অভিনয় করবো। তাতে নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের মঞ্চে অভিনয়ে আগ্রহ বাড়বে। মঞ্চের সাথে আমারও নিয়মিত একটা যোগায়োগ থাকবে। এটা সত্যি যে আমি কিন্তু মঞ্চ থেকে কখনো সরে যাইনি। নানান সময়ে কিন্তু সময় দেবার চেষ্টা করেছি।’
চঞ্চল চৌধুরী জানান, তার পরিবারের সদস্যরাও কলকাতা পৌঁছে গেছেন। আরো ক’টা দিন কলকাতায় ঘুরে বেড়ানোর পর আগামী ২ জানুয়ারি দেশে ফিরবেন। দেশে ফিরে তিনি নতুন নতুন কাজের জন্য গল্প শুনবেন।
এদিকে এরইমধ্যে চঞ্চল চৌধুরী তার বাবা রাধা গোবিন্দ চৌধুরীকে হারানোর এক বছর পার করেছেন। বাবার জন্য গেলো ২৭ ডিসেম্বর সারাটা দিন ভীষণ মন খারাপ ছিলো তার। এদিকে ‘দম’ নামের আরো একটি সিনেমার কাজ শিগগিরই শুরু করতে যাচ্ছেন চঞ্চল চৌধুরী। তার সর্বশেষ অভিনীত আলোচিত সিনেমা হচ্ছে মেজবাউর রহমান সুমনের ‘হাওয়া’। এতে অভিনয়ের জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :