প্রায় তিন মাস দেশের বাইরে (আমেরিকা) সময় কাটিয়ে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটায় দেশে ফিরেছেন। যেখানে অন্য অনেক তারকা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের (৭ জানুয়ারি) আগে দেশ ছাড়ছেন। তারা আবার নির্বাচনের পরে দেশে ফেরার পরিকল্পনা করছেন। সেখানে শাহনূরও চাইলেই নির্বাচনের পরে দেশে ফিরতে পারতেন। কিন্তু শাহনূর নির্বাচনের আগেই দেশে ফিরেছেন। দেশে ফিরেই তিনি অনেকটা সময় ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফেরদৌস আহমেদের প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন।
চিত্রনায়ক ফেরদৌস, শাহনূরের অনেক সিনেমার সহশিল্পী। তার বন্ধু মানুষও বটে। তাছাড়া শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবেও শাহনূর ফেরদৌসের পক্ষে প্রচারণায় নেমেছেন। এছাড়াও শাহনূর জানান তিনি মাশরাফি বিন মুর্তজা এবং শাকিব আল হাসানের প্রচারণাতেও সময় দিবেন। দু’জনের সঙ্গেই কথা হয়েছে শাহনূরের।
শাহনূর বলেন, একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে নিজের রাষ্ট্রের প্রতি নিজের দায়িত্বের কথা বিবেচনা করেই আমি নির্বাচনের আগেই দেশে ফিরেছি। দেশে ফিরেই আমি ফেরদৌসের নির্বাচনী প্রচারণায় আগ্রহ নিয়েই অংশগ্রহণ করেছি। ফেরদৌস আমার দীর্ঘদিনের সহশিল্পী, বন্ধু। আবার শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবেও আমার নিজের অবস্থান থেকে আমি তার প্রচারণায় অংশ নিয়েছি। আমি চাই ফেরদৌস সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হোক। যেহেতু দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে ঢাকা ১০ আসনের জন্য চুড়ান্ত করেছেন, তাই ঢাকা ১০ আসনের ভোটারদের, জনগণেরও উচিত তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা।
তিনি আরো বলেন, আামাদের দেশের দুই গর্ব মাশরাফি ও শাকিবের জন্যও অনেক দোয়া রইলো, তাদেরকেও যেন সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
এদিকে দেশে ফিরেই নির্বাচনের আগে নতুন কোনো কাজ করছেন না শাহনূর। তিনি জানান নির্বাচন শেষ হবার পর নতুন কাজে অংশগ্রহণ করবেন। এদিকে ‘রাজকুমারী’ নামক একটি সিনেমায় শাহনূর নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এখনো এর কাজ শেষ হয়নি। শাহনূরের অভিনয় জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সিনেমা ছিলো কোহিনূর আক্তার সূচন্দার পরিচালনায় অনুদানের সিনেমা ‘হাজার বছর ধরে’। এতে আম্বিয়া চরিত্রে অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন। এরপর আরো বহু বাণিজ্যিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।
শাকিব খানের সঙ্গে একটি সিনেমা ‘ধীরে ধীরে হয়ে গেলো ভােলাবাসা’ গানটি তার ভীষণ প্রিয়। এদিকে সরকারি অনুদানে ফারুক হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া’ সিনেমাতেও অভিনয় করেছিলেন তিনি এই সিনেমাটি আর আলোর মুখ দেখবে কী না সন্দেহ আছে।
এদিকে শাহনূর বর্তমানে তার মুক্তিযোদ্ধা বাবা সৈয়দ মোজাফফর আলীকে নিয়ে তথ্যচিত্র নির্মাণের যাবতীয় কাজ নিয়েও ব্যস্ত রয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণায়লয়ের সঙ্গে এই বিষয়ে শাহনূরের কথাও হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে শিগগিরই শাহনূর তার বাবাকে নিয়ে তথ্যচিত্র নির্মাণের কাজ শুরু করতে পারবেন।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :