কাওয়ালি থেকে বলিউডের গান- পাকিস্তানি গায়ক রাহাত ফতেহ আলি খানের ঝুলিতে রয়েছে অসংখ্য হিট গান। তবে কী এত সাফল্যই মাথা ঘুরিয়ে দিলো এই গায়কের? এমনটাই প্রশ্ন উঠছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে এক যুবককে নির্মমভাবে জুতোপেটা করছেন গায়ক। ওই যুবক বারংবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও থামছেন না তিনি, কিছুতেই কমছে তার না রাগ। তার হাতে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় নেটদুনিয়ায় সমালোচনার ঝড় বইছে। খবর জিও নিউজ।
শনিবার রাতে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর তাকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। নেটিজেনরা রাহাতের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ভিডিওতে দেখা গেছে, যুবকটিকে থাপ্পড় ও লাথি মারছেন রাহাত। এমনকি জুতা দিয়ে তাকে মারতে দেখা গেছে। এসময় ভিকটিম তাকে না মারার জন্য অনুরোধ করেন। পরে কয়েকজন এসে রাহাত ফতেহ আলি খানের হাত থেকে ওই যুবককে ছাড়ানোর চেষ্টা করেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সামা টিভি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক রাহাত ফতেহ আলি খানের বাড়িতে কাজ করেন। জলের বোতল কোথায়, তা নিয়েই নিজের কর্মচারীকে এভাবে নির্দয়ভাবে মারধর করেন গায়ক। একের পর এক চড় মারেন। এমনকী, পায়ের জুতো খুলে তা দিয়েও আঘাত করেন ক্রমাগত। পরে কয়েকজন এসে রাহাত ফতেহ আলি খানের হাত থেকে ওই যুবককে ছাড়ানোর চেষ্টা করেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায়। সমালোচনার ঝড় তোলেন নেটিজেনরা। এরপরই সাফাই দিতে আসরে নামেন খোদ গায়ক। এ ঘটনায় নিজের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ভিডিওবার্তা দিয়েছেন রাহাত ফতেহ আলী খান। তিনি বলেন, এটা শিক্ষক ও ছাত্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা একজন ছাত্রকে ভালো কাজের জন্য ভালোবাসি, সেইসঙ্গে সে ভুল করলে তাকে শাস্তি দিই।
তিনি বলেন, আমি পানির বোতলের কথা ভুলে গিয়েছিলাম; যা আমার পির দিয়েছিলেন। তবে এ ঘটনায় আমি আমার ছাত্র নাভিদ হুসনাইনের কাছে ক্ষমাও চেয়েছি।
এদিকে ঘটনার বিষয়ে ভিকটিম নাভিদ হুসনাইন বলেন, বোতলটিতে আধ্যাত্মিক নেতার (পির) দেওয়া পানি ছিল; যা তিনি ভুলভাবে ফেলেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, রাহাত ফতেহ আলী খান আমার বাবার মতো, আমার শিক্ষক। আল্লাহ জানেন, তিনি আমাদের কতটা ভালোবাসেন। যেই এটা করেছে, সে শুধু আমার শিক্ষককে ব্ল্যাকমেইল করেছে তার মানহানির জন্য।
পৃথক একটি ভিডিওতে হুসনাইন বলেন, তাদের মধ্যে যা কিছু ঘটেছিল তার জন্য তার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন রাহাত। তিনি খুব বিব্রত।
তিনি আরও বলেন, রাহাত তার শিক্ষক এবং তার সঙ্গে তিনি যা খুশি করতে পারেন।
একুশে সংবাদ/ঢ.প.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :