তেলেগু বা হিন্দি সিনেমা, সব মাধ্যমেই ইন্ডাস্ট্রির দাপুটে অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করতে দেখা গেছে তাকে। মাত্র ১৭ বছর বয়সে ভারতের সবচেয়ে ধনী শিশুশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন তিনি। তার অভিনীত কয়েকটি সিনেমা বেশ হিটও। অভিনয়গুণে নিজস্বতাও তৈরি করে নিয়েছেন তিনি। বলা হচ্ছে অভিনেত্রী সারা অর্জুনের কথা।
এ অভিনেত্রী হচ্ছেন অভিনেতা রাজ অর্জুনের মেয়ে। তিনি নিজেও দুই দশক ধরে হিন্দি ও দক্ষিণী সিনেমার পরিচিত নাম। অনুরাগ ক্যাশপের ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’র মাধ্যমে ডেবিউয়ের পর ‘রাউডি রাঠোর’, ‘রইস’, ‘সিক্রেট সুপারস্টার’, ‘ডিয়ার কমরেড’ ও ‘থালাইভা’র মতো সিনেমায় কাজ করেছেন রাজ।
সারা শোবিজে অভিষেক করেন যখন তার বয়স মাত্র এক থেকে দেড় বছর। মাত্র দুই বছর বয়সে প্রথম বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেন। নির্মাতা বিজয়ের একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছিলেন তিনি। পরবর্তীতে ২০১০ সালে ‘ডেইবা থিরুমঙ্গল’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তার।
বলিউড তারকা সালমান খানের ‘জয় হো’, ইমরান হাশমির ‘এক থি দায়ান’ ও ঐশ্বরিয়া রাইয়ের ‘জাজবা’সহ অনেক তারকাদের সঙ্গে সিনেমায় কাজ করেছেন এ অভিনেত্রী। তবে ‘সাইভম’ এ প্রধান ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য বিশেষভাবে সমালোচক ও দর্শকদের কাছে প্রশংসিত হন। এতে নাসারের সঙ্গে অভিনয় করিছলেন সারা।
এরপর মণি রত্নমের ‘পোন্নিইন সলেভান’ সিনেমায় অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাইয়ের ছোটবেলার চরিত্র তরুণী নন্দিনীর অভিনয় করেন। যা ওই সময় বক্স অফিসে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
এ অভিনেত্রী মাত্র ১৭ বছর বয়সে ১০ কোটি রুপির বেশি অর্থের মালিক। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ কোটি টাকা। ভারতীয় শিশুশিল্পীদের মধ্যে তিনিই সর্বাধিক অর্থের মালিক। তার বর্তমান বয়স ১৮। সিনেমা প্রতি ৪ লাখ রুপি করে পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন এ অভিনেত্রী।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :