বলিউডে স্টারকিড ছাড়া পথচলা নবাগত যে কারও জন্যই ভীষণ কঠিন। বিশেষ করে নায়িকাদের নানান সমস্যার মুখে পড়তে হয়। কাস্টিং কাউচ থেকে শুরু করে বডি শেমিং– বিভিন্ন সময় কটাক্ষের শিকার হতে হয় তাদেরকে। ইন্ডাস্ট্রির ক্ষমতাধরদের মন জুগিয়ে না চললে, চলার পথটা খুব একটা মসৃণ হয় না নায়িকাদের।
শুধু প্রতিভার ওপর আস্থা রেখে অভিনয় ক্যারিয়ার টিকিয়ে রাখা চ্যালেঞ্জিং। সম্প্রতি বলিউডের এমন বাস্তবতাই এবার উঠে এলো অভিনেত্রী ম্রুণাল ঠাকুরের কথায়। যার ক্যারিয়ার শুরুর পথ চলাটা মোটেও সহজ ছিল না।
‘লাভ সোনিয়ে’ থেকে শুরু করে ‘সুপার থার্টি’, ‘বাটলা হাউস’, ‘জার্সি’, ‘পিপ্পা’সহ আরও বেশ কিছু বলিউড সিনেমায় অভিনয় করে রীতিমতো দর্শকের নজর কাড়েন ম্রুণাল।
দিনদিন এই নায়িকার চলচ্চিত্রের সংখ্যা বাড়লেও শুরুর পথটা ছিল কাঁটায় ভরা। ধীরে ধীরে সেসব বাধা পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে আসতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে ম্রুণালকে।
সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে নিজের ক্যারিয়ারের নানান বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন ম্রুণাল। অভিনেত্রী বলেন, মারাঠি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয়ে অভিষেক হলেও সবসময় চেয়েছি বলিউডের সিনেমায় কাজ করতে। মূলত সে কারণেই কয়েকজন নির্মাতাকে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু সেই অনুরোধের প্রেক্ষিতে যে বডি শেমিংয়ের শিকার হবো কিংবা কাজের বদলে কটাক্ষ জুটবে— সেটা কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি।
তিনি আরও বলেন, এক নির্মাতা তো আমাকে সরাসরি বলেই দিয়েছিলেন যে— আমি মোটেও আবেদনময়ী নই। তাদের জন্য সেই অভিনেত্রী প্রয়োজন, যে আবেদনময়ী। তার এই কথার জবাবে আমি বলেছিলাম, শুধু জীবন্ত নয়, আমার শরীরের মৃত কোষগুলোও আবেদনময়ী– যা দেখার দৃষ্টি সবার নেই। আমিও সেটি সবসময় দেখাতে চাই না। ন্যাচারাল থাকতেই পছন্দ করি, যাতে একজন নির্মাতা আমাকে যেকোনো চরিত্রের জন্য ভাবতে পারেন।
ম্রুণাল বলেন, অভিনয়ের জগতে প্রতিষ্ঠার জন্য কখনও কোনো অপ্রীতিকর বিষয়কে সমর্থন করিনি। অংশ নিইনি শীর্ষ তারকা হওয়ার দৌড়ে। দর্শক যদি অভিনয়ের জন্যই আমাকে ভালোবাসেন, তখন অভিনয়ের দিকেই মনোযোগী হওয়া উচিত।
তাই কবে কে আমাকে গেঁয়ো ভূত, নন-গ্ল্যামারস কিংবা আবেদনহীন বলেছে, সেটা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে নিজের প্রতি বিশ্বাস রেখেই ভালোকিছু কাজ করে এগিয়ে যেতে চাই।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :