৬ মার্চ সামাজিক বিয়ে সারবেন কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজ। ইতিমধ্যে ১৪ ফেব্রুয়ারি, প্রেম দিবসে আইনি বিয়ে সেরে ফেলেছেন তাঁরা। কাঞ্চন আর শ্রীময়ীর বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সোশাল মিডিয়ায় তুমুল হইচই। কাঞ্চন ও শ্রীময়ী দুজনেই নেটিজেনদের কটাক্ষের রোষের মুখে পড়েছিলেন। তবে কাঞ্চন ও শ্রীময়ী দুজনেই এসব ট্রোলকে একেবারেই পাত্তা দেননি। ঠিক এই সময় খবরে এল সঙ্গীতশিল্পী অনুপম রায় ফের বিয়ে করছেন। পাত্রী গায়িকা প্রস্মিতা পাল। আর সঙ্গে সঙ্গেই কাঞ্চন-শ্রীময়ীকে ছেড়ে ট্রোলারদের নজর অনুপমের দিকে।
তবে নিজেদের বেলায় চুপ থাকলেও, অনুপমকে ট্রোল করার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন কাঞ্চনপত্নী শ্রীময়ী। এই নিয়ে এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে শ্রীময়ী জানান, ” এতদিন কাঞ্চনকে বুম্বাদা, শ্রাবন্তীদির সঙ্গে তুলনা করা হত। এবার শুরু হয়েছে অনুপমদাকে নিয়ে। কিন্তু যাঁরা ট্রোল করছেন তাঁদের এঁদের জায়গায় পৌঁছনোর মতো যোগ্যতা নেই। ওঁদের যে জনপ্রিয়তা রয়েছে সেটা ওঁরা নিজেরা অর্জন করেছেন। ওঁরা কতবার ভালোবাসবেন, কাকে ভালোবাসবেন, কটা বিয়ে করবেন সেটা নিয়ে এত কথা বলার কী আছে? ওঁরা তো মাইক নিয়ে প্রচার করেননি, আবার কাউকে বিরক্তও করেননি। মোবাইলের আড়ালে বসে মন্তব্য করাটা আসলে সোজা। নিজেদের সম্পর্ক, পরিবারে এবার মন দিন।”
ট্রোলারদের একহাত নিয়ে শ্রীময়ী, ”আপনাদের এত আফসোস কেন? আপনি পেলেন না বলে কষ্ট হচ্ছে বুঝি?”
অনুপমের সঙ্গে প্রেম নিয়ে প্রস্মিতা জানিয়েছেন, “আমরা দুজনেই গানের জগতের মানুষ। আমরা গানই গাই। তাই পেশাগতভাবে, সহকর্মী হিসেবে আমাদের অনেকদিন ধরেই পরিচয় আছে। কিন্তু সম্পর্ক বলতে এক বছর হয়েছে।”
প্রেমের প্রস্তাব কে দিল? আপনি না অনুপম? প্রস্মিতা উত্তরে বলেন, “সেভাবে প্রেমপ্রস্তাব বলে তেমন কিছু হয়নি। আমরা তো একে অন্যকে অনেকদিন ধরে চিনি। বুঝতে পেরেছিলাম যে একে অপরকে আমরা পছন্দ করছি। কোনও প্রোপোজাল কখনও হয়নি।” গায়িকা জানান, দুই বাড়ি থেকে এই বিয়েতে কোনও আপত্তিই ছিল না। বরং পরিবারের পক্ষ থেকেই বিয়ের দিন ঠিক করা হয়েছে। আগামী ২ মার্চ রেজিস্ট্রি করেই বিয়ে সারবেন অনুপম ও প্রস্মিতা।
একুশে সংবাদ/ সাএ
আপনার মতামত লিখুন :