‘আপনা টাইম আ গায়া হ্যায়।’ এই সময়টা আসতেই হতো। এখন নারীদের জীবনের নিয়ন্ত্রণ তাদের নিজের হাতেই তুলে নেওয়া উচিত। আমাদের জন্য যা রাখা আছে এ বার সেই অধিকারগুলো ফলানোর সময় এসেছে। নিজের স্বপ্নপূরণের জন্য সোচ্চার হওয়াটা প্রয়োজন।
নারী দিবস সামনে রেখে এক সাক্ষাৎকারে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন কিরণ রাও। কিরণ আমির খানের প্রাক্তন স্ত্রী। লাপতা লেডিজের বিশেষ প্রদর্শনী উপলক্ষ্যে কলকাতা এসে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কিরণ।
লাপতা লেডিজ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ১৩ বছর পর আবার সিনেমা তৈরি করছি। দুনিয়া বদলে গিয়েছে। তাই খুব নার্ভাস ছিলাম। বুঝতে পারছিলাম না ছবিটা দর্শকের পছন্দ হবে কি না। কারণ বাণিজ্যিক আঙ্গিক থেকেও ছবিটার নির্মাণশৈলী একটু অন্য রকমের। এখন নিজেকে সত্যিই অনেকটা চাপমুক্ত মনে হচ্ছে।
এই সিনেমায় বিয়ের পর সমাজে নারীদের অবস্থান নিয়ে এবং পুরুষতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে একাধিক বার্তা রয়েছে। ব্যক্তিগত স্তরে বিশ্বাস কী— প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাব দেন, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক রীতিনীতি মানুষ মেনে চলেন। কেউ সেটা মানলে, তাঁর প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। কারণ কে কীভাবে জীবন কাটাবেন সেটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে এ রকম কোরো রীতিতে বিশ্বাস করি না। কারণ আমাকে বাবা-মা খুবই অন্য রকমভাবে বড় করেছিলেন। মুশকিল হলো যে, অনেক সময়ে নারীদের কাছে আলাদা করে নিজের পছন্দ বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকে না। আবার সুযোগ থাকলেও ছোট থেকেই হয়তো তাদের প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করতে হয়। মাথায় কেউ ঘোমটা টানতেই পারেন। কেউ চাইলে বোরকা বা বিকিনিও পরতে পারেন। কিন্তু তার যেন স্বপ্ন দেখার অধিকার হারিয়ে না যায়। অন্যথায় তার জন্য লড়াই করতে হবে।
কলকাতা থেকে আমিরের জন্য কী নিয়ে যাবেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিঙাড়া আমার অত্যন্ত প্রিয়। ওর জন্য শিঙাড়াই নিয়ে যাব। মিষ্টি নিয়ে যেতে চাই না। কারণ আমির বা আজাদ মিষ্টি খেতে খুব একটা পছন্দ না করলেও আমির মিষ্টি দই খেতে খুব পছন্দ করে।
একুশে সংবাদ/ সাএ
আপনার মতামত লিখুন :