হাজার বছরের সংগ্রামমুখর বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। দিনটি উপলক্ষে শিশু, প্রতিশ্রুতিশীল, বিশিষ্ট ও বরেণ্য শিল্পী ও গুণীজনদের নিয়ে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। এরমধ্যে একই মঞ্চে একসঙ্গে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ২০ জন গায়কের সমবেত সংগীত পরিবেশনা সবার নজর কেড়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বেলা ১১টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, বিশেষ অতিথি ছিলেন শব্দসৈনিক অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমেদ এবং সভাপতিত্ব করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। এছাড়া স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ।
সভায় শিশুদের উদ্দেশে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, তোমরা দেশকে ভালোবাসো, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানো এবং বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে যদি তোমাদের সামনে কেউ কোনো অবজ্ঞা বা কটাক্ষ করে তাহলে তোমরা প্রতিবাদ করবে, কারণ তোমরা হলে আমাদের সামনের প্রজন্ম, তোমরাই এগিয়ে নিয়ে যাবে বাংলাদেশকে।
সভাপতির বক্তব্যে একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, আমাদের আজকের আয়োজনটি সাজানো হয়েছে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ২০ জন শিল্পী এবং বর্তমান প্রজন্মের শিল্পীদের নিয়ে। এর উদ্দেশ্য হলো, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীরা, বর্তমান শিল্পীরা এবং শিশুশিল্পীরা একই সঙ্গে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান গাইবে এবং আমি এটিই বলতে চাই যে, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সেই সময়ের ভাবনা ও চেতনা বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের মাঝে প্রসারিত হবে, ছড়িয়ে যাবে।
মহাপরিচালক আরও বলেন, আমাদের এ প্রত্যয় ঘোষণা করতে হবে যে, আমাদের দেশটা যেন আর কোন ষড়যন্ত্রের শিকার না হয়, যেন আর ইতিহাস বিকৃতির শিকার না হয়।
সাংস্কৃতিক পর্বে অংশ নেন কণ্ঠশিল্পী মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ, মো. মনোয়ার হোসেন খান, এম এ মান্নান, মো. রফিকুল আলম, তিমির নন্দী, শিবু রায়, মনোরঞ্জন ঘোষাল, মো. আবু নওশের, মলয় কুমার গাঙ্গুলী, রথীন্দ্রনাথ রায়, কল্যাণী ঘোষ, রূপা ফরহাদ, মালা খুররম, জয়ন্তী লালা, ছন্দা ভূঁইয়া হাজরা, শীলা ভদ্র, আজহারুল ইসলাম ও শাহীন সামাদ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী ও ইংরেজি সংবাদ পাঠক শব্দসৈনিক অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমাদ এবং কর্মী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. মনোয়ার হোসেন খান।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতেই তাদের উত্তরীয় পরিয়ে দেয় শিশুশিল্পীরা। পরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্যদিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :