১১ এপ্রিল বাংলাদেশে উদযাপিত হয় ঈদুল ফিতর। এবার ঈদে স্বামীকে নিয়ে তুরস্কে কাটিয়েছেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। নিজেদের প্রেমের সম্পর্কের ৯ বছরের পূর্তি উদযাপনে গত ৫ এপ্রিল তুরস্কে পাড়ি জমান তিনি। সেখানে যুক্তরাজ্যে থেকে যোগ দেন স্বামী রেজওয়ান।
প্রায় ১ সপ্তাহর মতো সময় তুরস্কে কাটিয়েছেন অভিনেত্রী। এই সময়ে যেমন ভালো কিছু অভিজ্ঞতা তৈরি করেছেন, একইসঙ্গে ভয়ানক স্মৃতি নিয়েও ফিরেছেন। দেশের এক সংবাদমাধ্যমের কাছে তুরস্কের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন ফারিণ।
অভিনেত্রী ফারিণ বলেন, ‘ঈদের নামাজ আদায় করে তুরস্কের বিভিন্ন স্থানে ঘুরেছি। ঈদের দিন জাহাজে ভ্রমণ করেছি। ১৪০০ সালে চালু হওয়া হাম্মামের তুর্কি বার্থেও গিয়েছিলাম। কতশত বছর আগের শুরু হওয়া হাম্মামের তুর্কি বার্থ। এখানে নাকি রাজা-বাদশাহরা একসময় গোসল করতেন। খুবই ঐতিহাসিক একটি জায়গায়। মিস করিনি।’
সবকিছুই ভালো ছিল। তবে সুখের সঙ্গে গা শিউরে উঠার মত অভিজ্ঞতাও হয়েছে ফারিণের। অভিনেত্রী জানালেন, তুরস্কের আনতালিয়াতে যে কেব্ল কারে উঠেছিলেন, চলে আসার পর জানতে পারেন, সেই কেব্ল কার ছিঁড়ে একজন মারা গেছেন। কয়েকজন আহতও হয়েছেন, বহু পর্যটক আটকে ছিলেন।
ফারিণ বলেন, ‘কেব্ল কারে চড়ার কথা মনে পড়লে এখনো রীতিমতো ভয় পাচ্ছি। যে কেব্ল কারে উঠেছিলাম, দুই দিন পর সেটি ছিঁড়ে পড়েছিল, কী ভয়ংকর! একজন মারা গিয়েছেন, কয়েকজন আহত হয়েছেন। ১৪৮ জন ট্যুরিস্ট নাকি আটকে ছিলেন। পরে হেলিকপ্টারে করে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। খবরটি জানার পর আঁতকে উঠেছিলাম আমি। কী একটা ভয়ংকর অবস্থা! দুই দিন আগেও আমি ওই কেব্ল কারে ছিলাম। খবর দেখে চিন্তায় ঢাকা থেকে মা ফোন করেছিলেন আমাকে।’ এই সপ্তাহেই দেশে ফেরার কথা রয়েছে তাসনিয়া ফারিণের। অন্যদিকে তার স্বামী রেজওয়ান ফিরে যাবেন যুক্তরাজ্যে নিজ কর্মস্থলে।
একুশে সংবাদ/এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :