ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা মাহিয়া মাহি। নিজের অভিনয় দিয়ে অসংখ্য ভক্তদের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি মাহির বিচ্ছেদ হলেও তার কর্ম জীবনের এর প্রভাব নেই বললেই চলে। সন্তানকে নিয়ে ফুরফুরে মেজাজেই আছেন এই নায়িকা। বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে বেশ সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন। শুধু তাই নয় নতুন উদ্যমে কাজেও ফিরেছেন মাহি। গেল ঈদে মুক্তি পাওয়া শাকিবের ‘রাজকুমার’ ছবিতে ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছেন এই অভিনেত্রী।
এদিকে কিছুদিন আগে ‘কই জানে না’ সিনেমার ‘আশিকি’ গানের সঙ্গে নাচের একটি ভিডিও প্রকাশ করে নেটাগরিকদের মনোযোগ কাড়েন তিনি। এক মিনিটেরর সে ভিডিওতে মাহির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে অনেকেই ভাবছিলেন ফুরিয়ে যাননি তিনি। অনেকে তাকে এমন রূপে ফের পর্দায় দেখারও স্বপ্ন দেখছিলেন। এত কিছুর মাঝে এই নায়িকা জানালেন তিনি একটি অনলাইন জুয়া কোম্পানির শুভেচ্ছা দূত হয়েছেন।
খবরটি জানিয়ে নিজের ফেসবুক থেকে প্রকাশ করা এক ভিডিও বার্তায় মাহি বলেন, আমি মাহিয়া মাহি। আজকে আমি তোমাদের জন্য দারুণ একটি নিউজ নিয়ে এসেছি। আমি নতুন এক ফ্যামিলিতে যোগ দিতে যাচ্ছি। জয়েন হতে যাচ্ছি শুভেচ্ছাদূত হিসেবে। অনেক চমক নিয়ে আসব তোমাদের কাছে।
এদিকে বাংলাদেশের সংবিধান ও আইনে জুয়া খেলা একেবারেই নিষিদ্ধ। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮ (২) অনুচ্ছেদে নৈতিকতা রক্ষায় রাষ্ট্রের দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে, গণিকাবৃত্তি ও জুয়াখেলা নিরোধের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ১৮৬৭ সাল থেকে চালু প্রকাশ্য জুয়া আইন অনুসারে, কেউ টাকার বিনিময়ে বাজি বা জুয়ার আসর বসালে এবং কেউ তাতে অংশ নিলে তা হবে দণ্ডনীয় অপরাধ। সুতরাং প্রচলিত আইন অনুসারে সব ধরনের জুয়া বাংলাদেশে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবেই পরিচিত অভিনেত্রী মাহি। মানুষের কল্যাণের কথা ভেবে রাজনীতিতে নেমেছেন বলেও ফলাও করে প্রচার করেন। তবে এরকম নিষিদ্ধ বেটিং প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত হওয়া কী তার শোভনীয়? এতে মাহির নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
এদিকে মাহির হাতে নেই নতুন সিনেমা। নির্বাচনে হেরেছেন। দ্বিতীয় সংসার ভেঙেছে। তবে নিজেকে ফিরে পেতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। জিমে গিয়ে নিজেকে ফিট রাখছেন। নতুনভাবে নিজেকে দর্শকের সামনে হাজির করতে চাইছেন।
একুশে সংবাদ/আ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :