AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ঈদকে কেন্দ্র করে স্টার সিনেপ্লেক্সে একই দিনে তিন ছবি


Ekushey Sangbad
বিনোদন ডেস্ক
০৩:৩৫ পিএম, ১৩ জুন, ২০২৪
ঈদকে কেন্দ্র করে স্টার সিনেপ্লেক্সে একই দিনে তিন ছবি

দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা। ঈদকে কেন্দ্র করে ১৪ জুন একসঙ্গে তিনটি ছবি মুক্তি দিচ্ছে স্টার সিনেপ্লেক্স। দর্শক মাতানো ‘ব্যাড বয়েজ’ ফ্র্যাঞ্চাইজির নতুন ছবি এসেছে পর্দায়। গত ৭ জুন যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পেয়েছে ‘ব্যাড বয়েজ : রাইড অর ডাই’। উইল স্মিথ ও মার্টিন লরেন্সের চমৎকার রসায়নের এ ছবি পরিচালনা করেছেন আদিল এল আরবি ও বিলাল ফালাহ। কাঙ্খিত এ ছবিটি দেশের দর্শকদের উপহার দিচ্ছে স্টার সিনেপ্লেক্স। এ ছাড়া অন্য সিনেমাগুলো হলো, ভারতীয় বংশোদ্ভূত হলিউড পরিচালক এম. নাইট শ্যামলনের কন্যা ইশানা নাইট শ্যামলন নির্মিত সুপারন্যাচারাল হরর ছবি ‘দ্য ওয়াচার্স’ এবং জাপানের জনপ্রিয় অ্যানিমে সিনেমা ‘হাইকু!! দ্য ডাম্পস্টার ব্যাটেল’। ছবিগুলো দেশের দর্শকদের ঈদ আনন্দে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছে স্টার সিনেপ্লেক্স কতৃপক্ষ।

ব্যাড বয়েজ : রাইড অর ডাই

বহুল আলোচিত অ্যাকশন-কমেডি ছবি ‘ব্যাড বয়েজ’ আলাদা দর্শকশ্রেনী তৈরি করেছে। এর আগে এই সিরিজের তিনটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। সবগুলো ছবিই দর্শকদের তুমুল সাড়া পেয়েছে এবং বক্স অফিসে সফল হয়েছে। এবার পর্দায় এসেছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির চতুর্থ ছবি ‘ব্যাড বয়েজ : রাইড অর ডাই’। আগের তিন কিস্তির মতো এখানেও প্রধান চরিত্র তথা ব্যাড বয়েজের ভূমিকায় থাকছেন উইল স্মিথ ও মার্টিন লরেন্স। আরো একবার তাঁদের হাস্যরস আর মারমুখী রসায়ন দেখবে দর্শক। অভিনয়ে আরো আছেন ভেনেসা হুগেনস, আলেকজান্ডার লাডউইগ, এরিক ডেন প্রমুখ। ১০০ মিলিয়ন ডলার বাজেটের ছবিটি প্রযোজনা করেছে কলম্বিয়া পিকচার্স। পরিবেশনায় সনি পিকচার্স।

স¤প্রতি ছবিটির প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে। সেখানে স্মিথ ও লরেন্স উপস্থিত হয়েছিলেন একটি দ্বিতল বাসে চড়ে। তাঁদের দেখে উপস্থিত দর্শকের মাঝে বিপুল উচ্ছ¡াস ছড়িয়ে পড়ে। তা দেখে উইল স্মিথ বলেন, ‘এটা শুধু এখানে নয়, গোটা পৃথিবীতে। যখনই আমরা একসঙ্গে আসি, এমন অসামান্য ভালোবাসা পাই।’ উইল স্মিথ ও মার্টিন লরেন্সকে দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তার চরিত্রে দেখা যায় এই ছবিতে। ১৯৯৫ সালে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির প্রথম সিনেমা ‘ব্যাড বয়েজ’ মুক্তি পায়। এরপর ২০০৩ সালে মুক্তি পায় ‘ব্যাড বয়েজ টু’ নামে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির দ্বিতীয় কিস্তি। আর প্রথম ছবি মুক্তির ২৫ বছর পর মুক্তি পায় তৃতীয় কিস্তি ‘ব্যাড বয়েজ: ফর লাইফ’। ব্যাড বয়েজ ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় ছবিতে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা গেছে। ছবির প্রধান দুই চরিত্রে উইল স্মিথ ও মার্টিন লরেন্সকে দেখা গেলেও ছবির পরিচালনায় এসেছে পরিবর্তন। ‘ব্যাড বয়েজ ফর লাইফ’ ছবিটি পরিচালনা করেছেন যৌথভাবে আদিল এল আরবি ও বিলাল ফালাহ। এবারের ছবিও পরিচালনা করেছেন এই জুটি। এর আগের দুই কিস্তি নির্মাণ করেছিলেন মাইকেল বে। নতুন পর্বে দর্শকদের জন্য অনেক সারপ্রাইজ রাখা হয়েছে। যার ফলে আগের পর্বগুলো থেকে এবারের পর্ব একেবারেই ভিন্নরকম হবে বলে হলিউডভিত্তিক গণমাধ্যমে জানান সিনেমাটির নির্মাতারা। তাদের মতে, এবারের পর্বে নতুন একদল ব্যাড বয়েজ দেখতে পাবেন দর্শক। যারা আগে কখনও দেখা দেয়নি।

মাইক লোরি এবং মার্কাস বার্নেট, অর্থাৎ উইল স্মিথ এবং মার্টিন লরেন্সের জনপ্রিয় জুটি আবারও ফিরেছে ‘ব্যাড বয়েজ রাইড অর ডাই’ ছবিতে। এই ছবি তাদের ভক্তদের জন্য একটি রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছে। ছবির শুরুতে দেখা যায়, মাইক লোরি (উইল স্মিথ) এবং মার্কাস বার্নেট (মার্টিন লরেন্স) তাদের মধ্য বয়সের বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছেন। মার্কাস অবসর নিতে প্রস্তুত, কিন্তু মাইক এখনও তার পুলিশি জীবনকে ছাড়তে চান না। এদিকে, নতুন একটি বিপজ্জনক কার্টেল আবির্ভূত হয়, যার নেতা এল ডিয়াবলো। এই যুগলকে আবারও একসাথে কাজ করতে হয় শহরকে রক্ষা করার জন্য। ছবির গল্প ঘনিয়ে ওঠে যখন মাইক এবং মার্কাস আবারও মিলিত হয়ে বিপজ্জনক মিশনে নামেন। ‘ব্যাড বয়েজ রাইড অর ডাই’ বিশ্বস্ততা, পরিবার এবং সময়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ থাকার উপর গুরুত্ব দেয়। ছবিটি দেখায় কিভাবে পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে হয় এবং প্রজন্মজুড়ে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা। মাইক এবং মার্কাসের বন্ধুত্ব এবং তাদের পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস ছবির মূল চালিকা শক্তি। আগের ছবিগুলোর মতো এ ছবিও দর্শকদের মন জয় করবে বলে বিশ্বাস সংশ্লিষ্টদের।

 

দ্য ওয়াচার্স

অতিপ্রাকৃত ভৌতিক সিনেমা ‘দ্য ওয়াচার্স’। নিউ লাইন সিনেমার ব্যানারে ছবিটি নির্মাণ করেছেন স্বনামধন্য ভারতীয় বংশোদ্ভূত হলিউড পরিচালক এম. নাইট শ্যামলনের কন্যা ইশানা নাইট শ্যামলন। এ ছবির মধ্য দিয়ে হলিউডের সিনেমা পরিচালনায় অভিষেক হতে যাচ্ছে ইশানার। অ্যাপল টিভি প্লাসের ‘সারভ্যান্ট’ সিরিজের কাহিনী, চিত্রনাট্য এবং পরিচালনার জন্য ইশানা বেশ প্রশংসা অর্জন করেছেন। এ ছাড়া তার বাবার ‘ওল্ড’ (২০২১) এবং ‘নক অ্যাট দ্য কেবিন’ (২০২৩) নির্মাণে জড়িত ছিলেন তিনি। ইশানার বাবা এম নাইট শ্যামলনের প্রযোজনায় ‘দ্য ওয়াচার্স’ নির্মিত হয়েছে একই নামে প্রকাশিত এ এম শাইনের উপন্যাস অবলম্বনে। ওয়ার্নার ব্রাদার্স পিকচার্সের পরিবেশনায় ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পেয়েছে ৭ জুন। ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন ডেকোটা ফ্যানিং। আরও রয়েছেন জর্জিনা ক্যাম্পবেল ওলয়েন ফোয়েরে, শ্যান ওরেগ্যান ও অলিভার ফিনেগানের মতো তারকা।

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণা করা হয়েছিল যে নিউ লাইন সিনেমা দ্য ওয়াচার্স প্রযোজনা করবে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছবিটির চিত্রগ্রহণ হয়েছিল। শুরুতে অনেকেই দ্বিধান্বিত ছিলেন এ ছবির ভবিষ্যত নিয়ে। নবীন পরিচালক হিসেবে কারো কারো আস্থার জায়গায় ঘাটতি ছিলো। তবে সব দ্বিধা দ্ব›েদ্বর অবসান ঘটে যায় ছবির ট্রেলার প্রকাশের পর। প্রত্যাশার চেয়ে বেশিই যেন দিয়েছেন ইশানা। বস্তুত ট্রেলার দেখার পর থেকে ছবিটি নিয়ে আগ্রহ বেড়ে যায় দর্শকদের। ছবিতে ফ্যানিং অভিনয় করেছেন ২৮ বছর বয়সী এক শিল্পী মিনার ভূমিকায়। গল্পে দেখা যায়, পশ্চিম আয়ারল্যান্ডের প্রত্যন্ত এক বনে হারিয়ে যায় মিনা। এক পর্যায়ে তিনজন আগন্তুকের সঙ্গে একটি কুটিরে আশ্রয় পায় সে, যেখানে প্রতি রাতে হানা দেয় এক অজানা প্রাণী। একের পর এক ঘটতে থাকে গা ছমছমে সব ভয়ঙ্কর ঘটনা।

 

 

হাইকু!! দ্য ডাম্পস্টার ব্যাটেল

বিনোদনের বাজারে জাপান শক্তিশালী হয়ে উঠেছে তাদের অ্যানিমে শিল্প দিয়ে। দেশের সীমানা পেরিয়ে এর আধিপত্য এখন সারা বিশ্বে। বাংলাদেশেও রয়েছে অ্যানিমের বেশ বড়সড় ভক্তমহল। অ্যানিমে মূলত অ্যানিমেশন ইন জাপান-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। জাপানিজ অ্যানিমেকে অনেকেই কার্টুন ভেবে ভুল করে থাকেন। আসলে এটি জাপানের বড় একটি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। গত প্রায় একশো বছরের বেশি সময় ধরে এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে বেরিয়েছে মন মাতানো সব অ্যানিমে সিরিজ। অ্যানিমেশন বলে অনেকে এই অ্যানিমেগুলোকে শিশুদের জন্য বানানো ভেবেও ভুল করে থাকেন। আসলে জাপানি অ্যানিমেশন এখন বয়স, লিঙ্গ, জাতির সীমানা ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে সবার বিনোদনের উৎস হিসেবে।

জাপানে ছেলেবুড়ো সবাই মাঙ্গা পড়ে। মাঙ্গা হচ্ছে জাপানে তৈরি একধরনের কমিক বা গ্রাফিক নোভেল। ১৯৫০ সালের কাছাকাছি থেকে মাঙ্গা জাপানের প্রকাশনা শিল্পের বড় অংশ হয়ে ওঠে।

১৯৯৫ সাল নাগাদ তো মাঙ্গা মার্কেট জাপানে প্রায় ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার সমমূল্যের হয়ে পড়েছিল, যা আস্তে আস্তে আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যের বাজারেও চলে আসে। যদি কোনো মাঙ্গা সিরিজ বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে, তবে তা অ্যানিমেটেড হতে পারে। অর্থাৎ মাঙ্গা থেকেই তৈরি হয় অ্যানিমে। এখন পর্যন্ত তৈরি হওয়া অধিকাংশ অ্যানিমের মূল ভিত্তিই ছিল মাঙ্গা। ২০১৬ সালের কথা। জাপানের অ্যানিমে ইন্ডাস্ট্রি ১৭৭০ কোটি ডলারের (রাজস্ব আয়সহ) রেকর্ড করে বসে। ‘কিমি নো না ওয়া’ (ইয়োর নেম), স্পিরিটেড অ্যাওয়ে, আকিরা, নারুতো, ওয়ানপিস-এর মতো রেকর্ডভাঙা অ্যানিমে তো সারা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। সম্প্রতি আবারও আলোচনায় এসেছে মাঙ্গা। গেল ফেব্রæয়ারিতে মুক্তি পেয়েছে এই ঘরানার সিনেমা ‘হাইকু!! দ্য ডাম্পস্টার ব্যাটেল’। এটি একটি ক্রীড়াভিত্তিক সিনেমা। হারুইচি ফুরুদাতের মাঙ্গা সিরিজ হাইকুয়ের উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে এটি। অ্যানিমে টেলিভিশন সিরিজের সরাসরি সিক্যুয়েল এটি। সেই সাথে এর প্রথম চলচ্চিত্র অভিযোজন। সুসুমু মিতসুনাকা পরিচালিত এ ছবিতে অভিনয় করেছেন আয়ুমু মুরাসে, কাইতো ইশিকাওয়া, ইউকি কাজি এবং ইউইচি নাকামুরা প্রমুখ। ‘হাইকু!! দ্য ডাম্পস্টার ব্যাটেল’ এ বছরের ফেব্রæয়ারিতে জাপানে মুক্তি পায়। সেখানে দর্শকদের ব্যাপক সাড়া পায় ছবিটি। এরমধ্যে জাপানে ১০ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে এ ছবি। এখন পর্যন্ত ২০২৪ সালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী জাপানি সিনেমা এটি। গল্পে দেখা যাবে, স্প্রিং ন্যাশনালের তৃতীয় রাউন্ডে প্রথমবারের মতো অফিসিয়াল ম্যাচে কারাসুনো হাই স্কুল এবং নেকোমা হাই স্কুল একে অপরের মুখোমুখি হয়। কারাসুনো এবং নেকোমার দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন ডাম্পস্টার যুদ্ধ। বিগত বছরে অসংখ্য অনুশীলন ম্যাচের পর, শো হিনাতা এবং কেনমা কোজুমে অবশেষে একে অপরের বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পান। এই খেলাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় চমৎকার সব ঘটনা।

প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে জাপানের সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্রে বসে আছে অ্যানিমে আর মাঙ্গা। বিখ্যাত অ্যানিমে বিশারদ তাকামাশা সাকুরাই মনে করেন, জাপানের অ্যানিমে এই ধারণা ভেঙে দিয়েছে যে এটি শুধু বাচ্চাদের দেখার জিনিস নয়। অ্যানিমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠার অন্যতম কারণ হলো এর হরেক রকমের ঘরানা। নিত্যদিনের ছোটবড় সব কাহিনি নিয়েও অ্যানিমে আছে। আপনি ঠিক যে ধরনের গল্প দেখতে চাচ্ছেন, তাই-ই অ্যানিমের মধ্যে খুঁজে পাবেন। এ ছাড়া দর্শকমনকে টানার কারণ অ্যানিমের গল্প বা ঘটনাপ্রবাহ। প্রায় অ্যানিমেতেই ভক্তরা নিজেদের মূল চরিত্রটির সঙ্গে জুড়ে দিতে পারেন ।

একুশে সংবাদ/ এস কে


 

Link copied!