কণ্ঠের জাদুতে হিট হয়ে যায় গান। হোক সে পার্টি মিউজিক কিংবা দুঃখের গান, অরিজিৎ সিংয়ের গলা পড়লেই যেন সেটি সুপারহিট। তবে এখন এআই’র (আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স) যুগে, কণ্ঠ নকল করা এক তুড়ির কাজ! হলিউড-বলিউডে চলছেও এ রকম, নকল করা হচ্ছে কত কিছু! তবে এসব জোচ্চুরি কারবার থেকে নিজের কণ্ঠস্বরকে বাঁচাতে বড় পদক্ষেপ নিলেন অরিজিৎ। ছুটে গিয়েছিলেন আদালতে। এবার সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রায় এল গায়কের পক্ষে। বাণিজ্যিক কিংবা অন্য স্বার্থে কোনোভাবেই একজন মানুষের ব্যক্তিগত অধিকার লঙ্ঘন করা যাবে না। খবর ইন্ডিয়া টুডের।
বুধবার (৩১ জুলাই) ছিল অরিজিতের করা ওই পিটিশনের শুনানি। তাতে বোম্বে উচ্চ আদালতের ওই বেঞ্চের বিচারপতি রিয়াজ চাগলা বলেন, ‘বাণিজ্যিক স্বার্থে একজন সেলেব্রিটির ব্যক্তিগত অধিকারকে নষ্ট করা যায় না।’ যোগ করে তিনি আরও বলেন, ‘বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সমালোচনা এবং মন্তব্যের অনুমতি দেয় কিন্তু বাণিজ্যিক লাভের জন্য একজন সেলেব্রিটির ব্যক্তিত্বকে কাজে লাগানোর লাইসেন্স দেয় না।’
এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে অরিজিতের কণ্ঠসহ কোনো কিছুই কোনো অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, বিজ্ঞাপনসহ কোনো ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যাবে না।
অরিজিতের অভিযোগ ছিল, বিনা অনুমতিতে একাধিক এআই ক্রিয়েটর তাঁর কণ্ঠ ও গান গাওয়ার ধরনকে ব্যবহার করেছে। এখানেই শেষ নয়, কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তাদের পণ্যে গায়কের ছবি ও স্বাক্ষরও ব্যবহার করছে। তাঁর অনুমতি না নিয়েই। এমনকি অরিজিতের নামে একাধিক ওয়েবসাইট চলছে। এসব বন্ধ করতেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি।
গায়কের আইনজীবী হিরেন কামোদ জানান, তাঁর মক্কেল (অরিজিৎ) দীর্ঘদিন ধরে কোনো ব্র্যান্ড এন্ডর্সমেন্টের সঙ্গে যুক্ত নন। বম্বে হাইকোর্ট বিনা অনুমতিতে চলা ওইসব কনটেন্ট সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ৮টি অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :