শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর উত্তাল হয়ে ওঠে সারা দেশ, সৃষ্টি হয় নজিরবিহীন গণ-উল্লাস। একইসঙ্গে একদল অতি উৎসাহী জনতা শুরু করে ভাঙচুর-তাণ্ডবের মতো কাজ। বিভিন্ন সরকারি, রাষ্ট্রীয় স্থাপনয় ঘটানো হয় অগ্নিসংযোগ। আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়গুলোও গুড়িয়ে দেওয়া হয়, ভস্মিভূত করা হয়।
দেশের এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরী ভিত্তিতে গঠন করা হচ্ছে অন্তবর্তীকালীন সরকার। যেখানে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। একইসঙ্গে ড. ইউনূসের উদ্দেশ্যে নিজের কিছু পরামর্শ তুলে ধরেন এই নির্মাতা।
সম্প্রতি এক গণমাধ্যমে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন প্রসঙ্গে নিজের একটি লম্বা মতামত পেশ করেন তিনি। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তার ওই মতামত সংক্ষিপ্ত করে উল্লেখ করেন ফারুকী। সেই কথাগুলো তুলে ধরা হল-
‘আমি মনে করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম কাজ হবে ৩২ নম্বরের বাড়ির পুনর্বাসনের কাজ শুরু করা। এই বাড়িকে আগের চেহারায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা এবং এ বাড়ি সম্পর্কিত বিভিন্ন ছবি, স্মৃতিস্মারক যা যা পাওয়া যায় তা দিয়ে যাদুঘর আবার চালু করা। এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান প্রফেসর ইউনূসের উচিত হবে নিজেই বাড়িটা ভিজিট করা। তিনি এই বাড়ি ভিজিট করলে একটা সিগনিফিকেন্স তৈরি হবে, একটা বার্তা দেবে।’
ফারুকী আরও উল্লেখ করেন, ‘এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গায় বীরশ্রেষ্ঠদের ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়েছে। এগুলো সব ঠিকঠাক করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে। বাংলাদেশের মন্দির থাকবে, মসজিদ থাকবে, প্যাগোডা থাকবে, গির্জা থাকবে, বোরকা থাকবে, জিনস থাকবে। সবকিছুই থাকবে বহুজনের এই সমাজে।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের কয়েকটি দাবি তুলে ধরেছিলেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তার ছয়টি দাবির মধ্যে মানুষের ক্ষোভ সামলানোর বিষয়টি তুলে আনেন; একইসঙ্গে মেজর জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তারের দাবি করেন।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :