বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সোচ্চার ছিলেন অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। বৈষম্য দূরীকরণে সংস্কার চেয়ে অভিনয় শিল্পী সংঘের বর্তমান কমিটিকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন টেলিভিশন শিল্পীরা। সাধারণ শিল্পীদের সঙ্গে রয়েছেন নওশাবা।
বিষয়টি নিয়ে নওশাবা বলেন, ‘আমি এই সংস্কারের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছি। আমি তাদের সঙ্গে অবশ্যই আছি। আমি সংস্কার চাই। আমি চাই, শিল্পী যেন স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারেন, কাজ করতে পারেন। আমরা যে সম্মানবোধ হারিয়ে ফেলেছি সেটা যেন ফিরে পাই। এখন শিল্পীদের সম্মানের চোখে দেখা হচ্ছে না। সেটা আমাদেরই পুনরুদ্ধার করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সাংগঠনিকভাবে সংস্কার প্রয়োজন। আমাদের এক হতে হবে। যতক্ষণ না আমরা এক হতে পারবো ততক্ষণে গঠনমূলক কিছু হবে না। কথা বলতে হবে ভালোবাসার সঙ্গে, কথা বলতে হবে সম্মান রেখে। অবশ্যই পরস্পরকে সম্মান করতে হবে।’‘আমাকে ব্ল্যাক লিস্টেড শুধু শিল্পীরা করেছে তা না, আমি সব জায়গা থেকেই ব্ল্যাক লিস্টেড ছিলাম। আমি আসলে অদৃশ্যভাবে বেঁচে ছিলাম।
অভিনয় শিল্পী সংঘের কোন বিষয়গুলোর সংস্কার করা প্রয়োজন? জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার ফুলভাবে স্ক্যান করতে চাই। আমরা সামগ্রিকভাবে আমাদের স্টেটমেন্ট দিয়েছি। এখানে কাউকে একঘরে করা যাবে না। শিল্পীকে আবার ব্ল্যাক লিস্টেড কি? আমার কথা হচ্ছে ভালো-মন্দ বিষয় জুনিয়র-সিনিয়র শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
নওশাবা বলেন, ‘আমার মেইন ফোকাস হচ্ছে- আমরা যে সম্মান হারিয়েছি তা ফিরে পাওয়া। অনেকের সঙ্গে আনফেয়ার করা হয়েছে। এখন রাস্তাঘাটে মানুষ দেখলে হাসে, বলে, এই যে আইছে! এটা তো হতে পারে না। শিল্পীকে সমাজের অলঙ্কার বলা হয়। সেই অলঙ্কারকে বিভিন্নভাবে ছোট করা হয়েছে। এ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমার সহকর্মীদের নিয়ে হাসাহাসি হচ্ছে সেটা নিশ্চই আমার ভালো লাগছে না। আমিও এর ভুক্তভোগি ছিলাম। আমরা যখন রাজপথে নেমেছি তখন কিন্তু কোনো ভেদাভেদ ছিলো না। আমরা আমাদের অধিকার আদায়ে নেমেছি। এখনও চাই বৈষম্য যেন না থাকে। শিল্পী মানে শিল্পী, এখানে আলাদা কিছু নেই।’
একুশে সংবাদ/এসএস
আপনার মতামত লিখুন :