অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে কাজের মাধ্যমে মিডিয়া জগতে প্রবেশ করেন। এরপর ‘অল টাইম দৌড়ের উপর’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শক থেকে শুরু করে ভক্ত-অনুরাগীদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন শবনম ফারিয়া।
অভিনয় নিয়ে একটা সময় ব্যস্ততায় কাটালেও বর্তমানে নিজেকে অনেকটাই পর্দার জগৎ থেকে আড়ালে রাখছেন তিনি। ব্যক্তিজীবনে নানা চড়াই উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে এই তারকাকে। সংসার জীবনে বিচ্ছেদের মুখ দেখেছেন। নিজের বাবাকে হারিয়েছেন। এদিকে টেলিভিশনের এক সাক্ষাৎকারে শবনব ফারিয়া বলেন, ‘যখন একজন মানুষ ক্যামেরার সামনে পেশাগত ভাবে কাজ করা শুরু করে সে এটা ভেবেই আসে যে, আসলে আমার ব্যক্তিগত জীবন বলতে খুব সীমিত জিনিস থাকবে। পুরটাই পাবলিক প্রোপার্টি হিসেবে মানুষজন দেখবে। কিন্তু একটা সময় যেটা হয় আমরা সাধারণ মানুষ অনেক সময় ভুলে যায় যে আমাদের কতটুকু পর্যন্ত আরেকজন মানুষের জীবনকে পাবলিক প্রোপার্টি হিসেবে বিবেচনা করতে পারি।’
অভিনয়ের সমালোচনার বিষয়ে ফারিয়ার বক্তব্য, ‘আমার অভিনয়কে নিয়ে দর্শকদের সমালোচনা করার শতভাগ অধিকার রয়েছে। যখন আমার ব্যক্তিগত জীবনে মায়ের সঙ্গে ছবি দিলাম কিংবা একজন কলিগ এর মায়ের সাথে ছবি দিয়েছি সেখানে এমন ধরনের কমেন্ট এসেছে যেটা কাম্য না। এটা আমাদেরকে বুঝতে হবে এটা বলে পরিবর্তন করা যাবে না। তিনি বলেন, ‘আমার বয়স ত্রিশের ওপরে এখন আমি নতুন করে ব্যক্তিত্বকে পরিবর্তন করতে পারবো না। আমরা যারা আছি একটা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছি। একটা ১৬ বছরের ছেলে যখন পরিবার থেকে শুরু করে সবার কাছ থেকে প্রপার রেসপন্স না পেয়ে অনেক হতাশার মধ্যে দিয়ে যায়, তখন ফেসবুক ব্যবহার করার সময় ধরলাম আমার একটা ফরমাল ড্রেসে দাঁড়িয়ে থাকা ছবি দেখলো এরপর তার তা ভালো লাগেনি।’
শবনমের ভাষ্য, ‘ভালো না লাগতে পারে, আমি এমন কিছু না যে আমাকে সবার ভালো লাগবে। ও হয়ত ছবিতে একটা বাজে কমেন্ট করলো। এবার অন্য ১০টা মানুষ সে কমেন্টে লাইক দেওয়ার পর বলেছেন ভাই সহমত একদম এ মিডিয়ার মেয়েরাই খারাপ। সারাদিনে প্রথমবারের মতো এই বিকেলে ও একটা গ্রহণযোগ্যতা পেলো তাদের কাছ থেকে যারা লাইক দিয়েছে ।’
শেষে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘এই প্রথমবারের মতো ও হিরো ফিল করলো এখন হয়ত কমেন্ট দেখে ওকে ব্লক করে দিলাম তখন ও এটাতে আরও বেশি আমাকে নিতে পারে নায় এজন্য ব্লক করে দিয়েছে। এবার সে অন্যদের প্রোফাইলে কমেন্ট করবে। তবে সেটাতো আমি এখানে বলে পরিবর্তন করতে পারবো না। পরিবার থেকে শিশুদের শেখাতে হবে অন্যদের বিষয়ে কতটুকু কথা বলতে পারে।’
একুশে সংবাদ/এসএস
আপনার মতামত লিখুন :