AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আমার চাকরিটা এখনো আছে : জ্যোতিকা জ্যোতি


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৪:৫৪ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
আমার চাকরিটা এখনো আছে : জ্যোতিকা জ্যোতি

গত বছরের মার্চ মাসে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যত্থানের পর আজ নিজ কর্মস্থলে গেলে সহকর্মীদের তোপের মুখে শিল্পকলা একাডেমি ছাড়তে বাধ্য হন এই অভিনেত্রী।

খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুঞ্জন উড়ছে, শিল্পকলা একাডেমিতে জ্যোতিকা জ্যোতিকে আটকে রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে জ্যোতির মুঠোফোনে চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এবার ফেসবুক লাইভে এসে পুরো ঘটনার বর্ণনা দিলেন ‘জীবন ঢুলি’খ্যাত এই অভিনেত্রী।  

কথার শুরুতে জ্যোতিকা জ্যোতি বলেন, ‘আমাকে নিয়ে অনেকে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন, আমি ঠিক আছি কিনা, তা জানতে চাইছেন। তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, আমি ঠিক আছি। তবে মানসিকভাবে আমি একদমই ঠিক নেই।’


শিল্পকলা একাডেমিতে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে জ্যোতিকা জ্যোতি বলেন, ‘দুই বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মাধ্যমে শিল্পকলা একাডেমিতে পরিচালক হিসেবে কাজ করছিলাম। এখনো আমার মেয়াদ শেষ হয়নি এবং নিয়োগ বাতিলেরও কোনো প্রক্রিয়া এখনো হয়নি। সুতরাং আমার চাকরিটা আছে। গত দুই মাস ধরে দেশে যা চলছে, তারপর থেকে শিল্পকলা একাডেমির অফিসের কাজ মোটামুটি বন্ধই বলা যায়। সপ্তাহখানেক হয়েছে নতুন ডিজি এসেছেন,  তাই আমার মনে হয়েছে আমার অফিসে যাওয়া উচিত। যদিও সচিব স্যারের, পরামর্শ ছিল আমি যাতে শিল্পকলায় না যাই। কিন্তু আমার চাকরি এখনো আছে। আমারও ভালো লাগছিল না, তাই গিয়েছিলাম।

শিল্পকলা একাডেমিতে অবস্থানকালে সাংবাদিকদের অনেক ফোন কল পেয়েছেন। তা স্মরণ করে জ্যোতি বলেন, ‘শিল্পকলায় যাওয়ার আধা ঘণ্টার মধ্যে অনেক সাংবাদিক ফোন করে জানতে চাচ্ছিলেন, আমার অবস্থা সম্পর্কে। কারণ তারা জানতে পেরেছেন, আমাকে নাকি অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। কিন্তু আমি তখনো বিষয়টি জানি না। আমার আরেক সহকর্মী ছিলেন। তিনি আমাকে বললেন, চলো বেরিয়ে যাই। আমি তাকে বলি, আমার চাকরি তো শেষ হয় নাই, তাহলে আমি কেন যাব? প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিয়োগ বাতিল হলে অবশ্যই আমি আর আসব না।


শিল্পকলা একাডেমির ডিজির সঙ্গে সাক্ষাতের কথা জানিয়ে জ্যোতিকা জ্যোতি বলেন, ‘আমি যখন শিল্পকলায় যাই তখন ডিজি স্যার একটা মিটিংয়ে ছিলেন। এরপর উনি যখন বের হন, তখন আমি ওনার সঙ্গে দেখা করার জন্য বের হই। বেরিয়ে দেখি শিল্পকলায় অনেক লোকজন। অনেকে চেচামেচি করছে। আমি ডিজি স্যারের সঙ্গে দেখা করলাম। স্যার বললেন, দেখেন এই অবস্থা। এর মধ্যে অফিসে কেন এসেছেন? আপনারা বরং চলে যান, পরিস্থিতি সামলাতে দেন। পরে এ বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত হয় সে মোতাবেক কাজ করবেন।’

সহকর্মীদের আচরণে বিস্মিত জ্যোতিকা জ্যোতি। তা জানিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘ডিজি স্যারের সঙ্গে কথা বলে লবিতে ফিরে উপস্থিত অন্যদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলাম। কিন্তু উনারা কোনো কথা বলবেন না। শুনতে পেলাম, আরো লোকজন খবর দেওয়া হয়েছে। আমাদের আটকে রাখবে বা কিছু করবে। আমার খুব অবিশ্বাস্য লাগছিল, সবার মুখ অপরিচিত লাগছিল। কারণ এরাই আমার সহকর্মী ছিলেন!

অফিসে থাকা জ্যোতিকা জ্যোতির ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ছিল। চলে আসার সময়ে সেসব জিনিস নিয়ে আসেন। কিন্তু উপস্থিত সহকর্মীদের সেসব জিনিসপত্র দেখিয়ে তারপর শিল্পকলা একাডেমি থেকে বের হন জ্যোতি।

এ বিষয়ে জ্যোতিকা জ্যোতি বলেন, ‘লবি থেকে আমি আবার আমার অফিস রুমে ফিরে যাই। আমার জিনিসপত্র (মায়ের ছবি, কসমেটিকস) গোছাই। ওই সময়ে আমার জেদ হয়, আমার চাকরি থাকার পরও আমি কেন অফিস ছাড়ব! এরই মধ্যে অনেকে আমার দরজার সামনে জড়ো হয়। তখন আমার সঙ্গে সচিব স্যার ছিলেন। এরপর বের হওয়ার সময়ে আমার জিনিসপত্র দেখিয়ে আমি বের হয়ে আসি।

 

 

একুশে সংবাদ/রা/বি/এন

 


 

Link copied!