ছোট থাকতেই বাবাকে হারান। এ অবস্থায় বেঁচে থাকার জন্য গৃহকর্মীর কাজ শুরু করেন মা। মাত্র অল্প বয়সেই শুরু হয় বেঁচে থাকার লড়াই। যেন নুন আনতেই পান্তা ফুরায় অবস্থা। অন্যের বাড়ি বেঁচে যাওয়া ভাত-রুটির অপেক্ষায় থাকতে হতো। তবে বেঁচে থাকার সেই সংগ্রাম একটা সময় শেষ হয়। জীবনযুদ্ধে জয়ী হয়েছেন। মালিক হয়েছেন কোটি কোটি টাকার। এমনকি অর্থের সঙ্গে হাতিয়ে নিয়েছেন তারকা খ্যাতি। প্রতিভাগুণে সবার মন জয় করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন শোবিজ ইন্ডাস্ট্রিতে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক ভারতী। রয়েছে নিজস্ব বাড়ি-গাড়ি। স্বামী হর্ষ লিম্বাচিয়া ও ছেলে গোলাকে নিয়ে সুখেই সংসার করছেন এই তারকা।
বলিউডে শক্ত অবস্থান তৈরি করলেও নিজের সংগ্রাম এবং অতীত অধ্যায় বলতে কখনও পিছপা হন না ভারতী। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, অনেকে সময় এমনও হয়েছে যে, অর্ধেক আপেল খাওয়ার পর বাকিটুকু ডাস্টবিনে ফেলে দিচ্ছে। তখন মনে হতো সেই আপেলটুকু বের করে খেয়ে নেই। আমরা এতটাই গরীব ছিলাম।
ভারতী আরও বলেছিলেন, কখনও কোনো উৎসব আসলে আমার মন আরও খারাপ হতো। এলাকার অন্য সব ছেলে-মেয়েরা বাজি ফাটাত। আর আমরা সেখানে গিয়ে হাত তালি দিতাম, যাতে সবাই মনে করে ওই বাজিটা আমার, আমিই জ্বালিয়েছি।
কমেডিয়ান অভিনেত্রী বলেন, মা অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন আর আমি বসে থাকতম। মা টয়লেট পরিষ্কার করতেন। যে বাড়িতে কাজ করতেন সেখান থেকে বেঁচে যাওয়া রুটি-সবজি দিতো মাকে, আর সেই বাসি রুটি ছিল আমাদের কাছে টাটকা খাবার। সেই খাবার পাওয়ার পর ভীষণ খুশি হতাম আমরা।
একুশে সংবাদ/আ.ট./সাএ
আপনার মতামত লিখুন :