সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল ব্যক্তিজীবনে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও মন্তব্যের কারণে সমালোচনায় জর্জরিত হতে থাকেন। এতে এই গায়কের ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন তার ভক্ত ও শ্রোতারা। এরপর একটা সময় অন্ধকারে হারিয়ে যান সারেগামাপা খ্যাত এই সংগীতশিল্পী।
নোবেলকে নিয়ে ছিল ব্যাপক সমালোচনা। সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন আপত্তিকর মন্তব্য করে ‘মাদকাসক্ত’ তকমা পেয়ে যান একসময়ের সকলের চোখের মণি। তবে তিনি যে এক আসক্তিতে ছিলেন, তা বলা বাহুল্য। তার অনুরাগীদের প্রার্থনা ছিল শুধু তার সুস্থতা কামনায়। কারণ নোবেল সুস্থ হয়ে ফিরে এলেই আবার শোনা যাবে তার সেই ঝাঁঝালো স্বরের গান। অনুরাগীদের সেই সংকোচ অবশেষে কাটতে চলেছে। নোবেল ফিরে আসছেন সেই আগের রূপ-গুণেই! এক সাক্ষাৎকারে এমনটিই জানালেন এই শিল্পী।
নোবেল অবশেষে তার ভুল ত্রুটিগুলো বুঝতে পেরেছেন। শুধরে নিয়েছেন নিজেকে। স্বীকার করলেন, আসক্তি নামের একটি বিষয়ের সঙ্গে খারাপ সময় কেটেছে তার। নিজেকে শোধরাতে কাটাতে হয়েছে রিহ্যাবেও। নোবেলের কথায়, ‘একটা আসক্তিতে পড়ে যাই। আমার সম্মতি সাপেক্ষেই আমি রিহ্যাবে কাটিয়েছি। এখন আমি এগুলো থেকে বিরত আছি, সম্পূর্ণরূপে বিরত। সেই জগতে আমার আর ফিরে যাওয়ারও ইচ্ছে নেই। এখানে কাউকে দোষারোপ করার কিছু নেই, সবকিছুর জন্য আমিই দায়ী।’
খানিকটা ভীত স্বরে নোবেল বলেন, ‘অনেকের থেকে দূরে সরে যাওয়ায় একটা দূরত্ব তৈরি হয়ে যায়। আমার কিছু কার্যকলাপ, সেসব ভুল ছিল। সবমিলিয়ে আমার আচার-আচরণ একটু অন্যরকম হয়ে গিয়েছিল। ইন্ডাস্ট্রিতে যারা মূলত আমাকে দিয়ে কাজ করাবেন, তাদের সঙ্গেও আমার একটা দূরত্ব তৈরি হয়, ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি হয়। এর ফলেই আমি ‘গায়েব’ হয়ে যাই আরকি।’
এই সংগীতশিল্পী বলেন, ‘মানুষের আমার কাছে যা প্রত্যাশা করেছিল, আমি সে অনুযায়ী চলতে পারিনি। আমার প্রফেশন গান গাওয়া, গান থেকেই মানুষ আমাকে চিনেছে। তবে আমার যে ভুলভ্রান্তি গুলো ছিল, যেমন কিছু উদ্ভট কথাবার্তা এসব থেকে নিজেকে বিরত থাকি, তাহলে আমার চলার পথটা আরও সহজ হবে।’
বর্তমানে নোবেলের হাতে কিছু গান ও সিনেমা রয়েছে, যা ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য নির্মাণ হবে। এর মধ্যে একটিতে খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে তাকে। পর্দায় খলনায়ক চরিত্র নিয়েই ফিরতে চান এই গায়ক।
একুশে সংবাদ/ঢা.প./সাএ
আপনার মতামত লিখুন :