ঢাকাই ছবির অন্যতম আলোচিত চিত্রনায়ক জায়েদ খান। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে আলোচনার কমতি নেই। সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি বর্তমানে স্টেজ শো নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন জায়েদ।
এদিকে আওয়ামী সরকারের পতনের পর বেশ কয়েকজন তারকার নামে মামলা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন জায়েদ খানও। ৯ বছর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চিত্রনায়ক জায়েদ খান, অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয় ও সাজু খাদেমসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ঘটনার পর আলোচনা-সমালোচনাও হয়েছে। এবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। সম্প্রতি নিউইয়র্কভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যমের ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ নামে অনুষ্ঠানে ড. আসিফ নজরুলের কাছে এক প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়―আগের আমলের মতো এবারও অদ্ভুত সব গায়েবি মামলা হচ্ছে কি না? জবাবে অন্তর্বর্তী সরকারের এ উপদেষ্টা বলেন, সবার নাম নিয়ে তো বলা সম্ভব নয়, তবে এখন দুজনের নাম মনে আছে; সাকিব আল হাসান ও জায়েদ খান।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, এখানে একটি বিষয় বুঝতে হবে, মামলা করা সবার নাগরিক অধিকার। সবই (মামলা) কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে হয়েছে। এসব পুলিশ করলে তবে তা রাষ্ট্রীয় হতো। ওনাদের ক্ষেত্রে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হয়েছে? গ্রেপ্তার হয়নি। এফআইআর মানেই গ্রেপ্তার নয়। পুলিশ ক্রেডিবল কিছু না পেলে গ্রেপ্তার করবে না, এটা নিশ্চিত। আসলে যারা মামলা করতে আসে, এত প্রেশার থাকে, তা বলার মতো নয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল নির্বাচনী প্রচারের সময় বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত পথসভায় বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশে আসামিরা অস্ত্র নিয়ে তার গাড়িবহরে হামলা চালান। গাড়িবহরের ১২/১৪টি গাড়ি ভাঙচুর, ৪টি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়। হামলায় খালেদা জিয়ার নিরাপত্তারক্ষীরা আহত হন। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে আসামিরা ইট-পাথর নিক্ষেপ করলে সাধারণ পথচারীরা আহত হন।
একুশে সংবাদ/এসএস
আপনার মতামত লিখুন :