বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই চাপের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত শিল্পীরা। এমনকি সামাজিকমাধ্যমেও কটাক্ষের মুখে পড়ছেন অনেকেই। অনেক শিল্পীই আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মনোনয়ন কিনেছিলেন কিংবা চেয়েছিলেন। তাদেরই একজন অভিনেত্রী সোহানা সাবা।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শিল্পীদের মধ্যে পক্ষ-বিপক্ষ দুটি দল লক্ষ্য করা গেছে। এর মধ্যে বিপক্ষ দলটি ‘আলো আসবেই’ নামক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলে। সেই গ্রুপ-কাণ্ডে আলোচনায় আসার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একের পর এক স্ট্যাটাস দিচ্ছেন অভিনেত্রী সোহানা সাবা।
তার সেই স্ট্যাটাস, ভাবনা, মন্তব্য নিয়ে গণমাধ্যমেও বিভিন্ন শিরোনামে সংবাদ প্রচার হচ্ছে। বিষয়টি মোটেও ভালোভাবে নিচ্ছেন না এই অভিনেত্রী। এ কারণে বুধবার নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসের কমেন্টে গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে সাবা বলেছেন, আমার ফেসবুকের স্টেটমেন্ট পারমিশন ছাড়া পত্রিকা বা অনলাইনে নিউজ করবেন না।
সোহানা সাবা আরো বলেন, এটা আমার ব্যক্তিগত প্রোফাইল। এখানে আমি যা লিখবো তাই যদি নিউজ করে চলতে হয় আপনাদের, তবে বুঝে নেন আপনাদের কি বেহাল অবস্থা!
এরপর নিজের ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে অনেক সাংবাদিককে ছেঁটে ফেলেছেন উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী বলেন, আমার জানামতে ২-৩ জন মিডিয়াকর্মী বাদে সবাইকেই প্রোফাইলের ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে ডিলিট করেছি বা করবো। আপনারাও আমাকে বয়কট করুন। নিজেদের এতটুকু আত্মসম্মানবোধ আপনাদের থাকা উচিত!
এর আগে, সেই স্ট্যাটাসে পূজা মণ্ডপের কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে সোহানা সাবা লেখেন, আমার বড় খালামনির বাড়ি ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পাশে। প্রতি বছর পূজাতে আমরা কাজিনরা মিলে মন্দিরে গিয়ে নাচ করি, প্রসাদ খাই। বাড়ি ফিরে নামাজ-রোজা মিস হয়নি কারো।
তবে এবার পূজায় যাবেন না উল্লেখ করে অভিনেত্রী লেখেন, এ বছর যাবো না। আর কোনোদিনই যাবো না হয়তো। আমার মুসলিম ভাইরা মন্দির পাহারায় বসেছে দেখে গর্বে বুকটা ভরে গেছে, সে কারণেই। ভালো থাকবেন আপনারা সবাই। বাংলাদেশের মানুষরা...।
একুশে সংবাদ/এসএস
আপনার মতামত লিখুন :