জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বহু সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়ে আগেই আলোচনায় এসেছেন ফারজানা ইয়াসমিন অনন্যা। মাত্র ২৪ বছর বয়সে ফারজানা ইয়াসমিন অনন্যা বাংলাদেশের জন্য একটি অসাধারণ মাইলফলক অর্জন করেছেন।এবার দেশের প্রতিনিধি হয়ে অসাধারণ একটি মাইলফলক ছুঁলেন তিনি।
প্রথমবারের মতো, দেশটি একটি বড় আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার শীর্ষ ২১এ স্থান পেয়েছে, মিস কসমো। এছাড়াও, তিনি প্রতিযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ গ্রিন সামিটের শীর্ষ 8-এ একটি মর্যাদাপূর্ণ স্থান অর্জন করেছেন।
মিস কসমো নিয়ে ফারজানা একুশে সংবাদকে জানান, মিস কসমো থেকে আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।আমার নতুন একটি অভিজ্ঞতা হয়েছে,তার ভিতরে আমি এর আগে কখনো আন্তর্জাতিক ফ্যাশন শো করিনি।ঐখানে যাওয়ার পরেই আমি আন্তর্জাতিক ফ্যাশন শো করেছি।
অভিজ্ঞতা নিয়ে অনন্যা জানান, এটি একটি ভালো অভিজ্ঞতা ছিলো। ঐখানে আমি পরপর তিনটি ফ্যাশন শো করেছি।কারন দেশে আর দেশের বাইরের মডেলিংটা আলাদা। মিস কসমো আমাদের তিনটি আন্তর্জাতিক ফ্যাশন শো করিয়েছে যে অভিজ্ঞতাটা অনেক ভালো ছিলো।এইখান থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। যেখানে প্রায় ৫৯টি দেশের প্রতিযোগীরা ছিলো।এদের সবার থেকেই অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। যেমন ল্যাটিনরা ইংলিশে অনেক দূর্বল তারা ইংলিশটা তেমন ভালো পারেনা। তাই আমি ওদের থেকে ল্যাটিন ভাষাটা শিখেছি।যেনো আমি ওদের সাথে কথা বলতে পারি।এরপর ভিয়েতনামে একমাস ছিলাম তখন ওদের ইতিহাস,খাবারসহ অনেক বিষয় নিয়ে শিখতে পেরেছি।
ক্যারিয়ার নিয়ে ফারজানা ইয়াসমিন জানান, আমার ক্যারিয়ার নিয়ে অনেক হেল্প হয়েছে কারন আমি গত ৫ বছর ধরে আমি মডেলিংয়ে আছি,সেহেতু আমি তিনটি আন্তর্জাতিক মানের তিনটি ফ্যাশন শো করছি সেখানে যাওয়ার পর।এর সাথে তিনটি ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাশন শো ও২টি ফটোশুট করেছি সেখানে যাওয়ার পর।এই ফ্যাশন শো আর ফটোশুটগুলো করার কারণে নিজের অনেক সুবিধা হয়েছে।কারণ আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে এই সুন্দরী বলেন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হচ্ছে আমি ভবিষ্যৎয়েও মডেলিং করে যেতে চাই। আর যেহেতু দেশকে রিপ্রেজেন্ট করতে পেরেছি ২বার এখন পর্যন্ত। মিস ইন্টারন্যাশনালে একবার আর মিস কসমোতে আরেকবার। মিস কসমোতে যেহেতু ইতিহাস গড়তে পেরেছি তাই আমার ইচ্ছে আমার শেষ নি:শ্বাস থাকা পর্যন্ত বাংলাদেশকে বিশ্বের সবজায়গায় প্রমোট করা।দেশের জন্য একটা ইমেজ তৈরী করা।আর আমি মডেলিং করতে থাকবো আর আমার অর্গানাইজেশন নিয়েও কাজ ভবিষ্যৎয়ে কাজ করে যেতে চাই।
অলাভজনক সংস্থা রিবোর্ন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা অনন্যা। যিনি আট বছরেরও বেশি সময় ধরে একজন সমাজকর্মী হিসেবে কাজ করছেন। তিনি উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং নারীদের অধিকারের জন্য প্রচার করতে আগ্রহী।
২০২০ সালে ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’-এ অংশগ্রহণের মাধ্যমে মডেলিং দুনিয়ায় যাত্রা শুরু অনন্যার। হয়েছিলেন প্রথম রানার আপ। বেশ কয়েকটি নামি ব্র্যান্ডের মডেল হিসেবে তিনি কাজ করেছেন। ফ্যাশন রানওয়েতে ক্যাটওয়াক করছেন প্রায় নিয়মিত।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :