তিন দিনের রিমান্ড কার্যকর হওয়ার পর হাইকোর্ট থেকে তিন মাসের জামিন পেয়েছিলেন ই-কর্মাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাবেক সভাপতি ও অভিনেত্রী শমী কায়সার। তবে জামিন স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে শমী কায়সারের জামিন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ছিল শমী কায়সারের জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেদওয়ান আহমেদ রানজিব। আর শমী কায়সারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী নাজিয়া কবির।
অভিনেত্রীকে দেয়া হাইকোর্টের তিন মাসের জামিন স্থগিত করে দেন চেম্বার বিচারপতি রেজাউল হক। আগামী ৬ জানুয়ারি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় শমী কায়সারকে তিন মাসের জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরদিন বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে তার জামিন স্থগিত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
গত ৫ নভেম্বর রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে অভিনেত্রী শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশ। শহিদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের মেয়ে শমী কায়সার আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশীও ছিলেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ীসহ অন্যরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। একপর্যায়ে উত্তরা পূর্ব থানার ৪ নম্বর সেক্টরের আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাই স্কুলের সামনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ তাদের ওপর হামলা চালায় এবং গুলিবর্ষণ করে। এতে ইশতিয়াকের পেটে গুলি লাগে। পরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। এরপর হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় শমী কায়সার ২৪ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :