জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত ঢালিউডের প্রখ্যাত চিত্রনায়িকা ও নৃত্যশিল্পী অঞ্জনা রহমানের জানাজা শনিবার (৪ জানুয়ারি) বাদ জোহর এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হবে। জানানো হবে শেষ শ্রদ্ধা। শনিবার বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন এ অভিনেত্রী৷
এমনটাই জানিয়েছেন শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর। তিনি জানান, অঞ্জনাকে শনিবার বাদ যোহর এফডিসিতে নেয়া হবে। সেখানে তাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাবেন চলচ্চিত্রের সহকর্মী থেকে সাধারণ ভক্ত অনুরাগীরা। পরে সেখানেই হবে প্রথম নামাজে জানাজা।
এফডিসি থেকে অঞ্জনার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে বনানী কবরস্থানে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফন করা হবে। এ বিষয়ে মিশা জানান, পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, তাদের প্রথম চয়েস বনানী কবরস্থান, সেখানে কোনো কারণে দাফন করা না গেলে জুরাইন কবরস্থান বিকল্প হিসেবে ভেবে রাখা হয়েছে।
৩ শতাধিক চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী অঞ্জনা। ১৯৮১ সালে ‘গাংচিল’ এবং ১৯৮৬ সালে ‘পরিণীতা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য দুইবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি৷ এছাড়া তিনি মোহনা (১৯৮৩), পরিণীতা (১৯৮৬) এবং রাম রহিম জন (১৯৮৯) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে তিনবার বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন।
চলচ্চিত্র জগতে আসার আগে তিনি একজন নামী নৃত্যশিল্পী ছিলেন। অঞ্জনার অভিনয় জীবন শুরু হয় ১৯৭৬ সালে বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘সেতু’ চলচ্চিত্র দিয়ে। তবে তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র শামসুদ্দিন টগর পরিচালিত দস্যু বনহুর (১৯৭৬)। রহস্য ভিত্তিক এই ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন সোহেল রানা।
১৯৭৮ সালে তিনি আজিজুর রহমান পরিচালিত ‘অশিক্ষিত’ চলচ্চিত্রে নায়ক রাজ রাজ্জাকের বিপরীতে লাইলি চরিত্রে অভিনয় করেন। রাজ্জাকের বিপরীতে তিনি ৩০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এছাড়া আলমগীর, জসিম, বুলবুল আহমেদ, জাফর ইকবাল, ওয়াসিম, উজ্জ্বল, ফারুক, ইলিয়াস জাভেদ , মিঠুন চক্রবর্তী, (ভারত) ইলিয়াস কাঞ্চন, সোহেল চৌধুরী, রুবেল, সুব্রত বড়ুয়া, মান্নার মতো তারকা নায়কদের সঙ্গে অভিনয় করে তিনি ব্যাপক প্রশংসিত হন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার দিবাগত রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :