শরীর জুড়ে ক্ষত। হামলাকারীর উপর্যুপরি ছুরির কোপে ছ’টি জখম তৈরি হয়েছিল হাতে, ঘাড়ে, মেরুদণ্ডের কাছে। সময় মতো সঠিক চিকিৎসা পাওয়ায় দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন সাইফ আলি খান। সূত্রের খবর, তিনি স্থিতিশীল থাকলে মঙ্গলবার লীলাবতী হাসপাতাল থেকে ছুটি পেতে পারেন। এও জানা গিয়েছে, আজ সোমবার, পুলিশ তার বক্তব্য রেকর্ড করতে পারে। অন্য দিনের মতো সোমবার সকালেও ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে যান শর্মিলা ঠাকুর।
তিন দিন চিরুনিতল্লাশির পর সাইফের বাড়ি থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে। হামলাকারী ধরা পড়তেই বাবাকে হাসপাতালে দেখতে যায় তার ছোট দুই সন্তান তৈমুর আলি খান এবং জেহ্ আলি খান। সঙ্গে তাদের মা কারিনা কাপুর খান।
হামলার রাতে বছর আটেকের তৈমুরই রক্তাক্ত সাইফকে অটোয় করে হাসপাতালে নিয়ে আসে! খবর ছড়াতেই তড়ঘড়ি বাবাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে আসেন তার আরও দুই সন্তান সারা আলি খান এবং ইব্রাহিম আলি খান।
পর্যবেক্ষণরত চিকিৎসকদের আগে দেওয়া বক্তব্য অনুযায়ী, বাড়িতে গিয়েও টানা বিশ্রামে থাকতে হবে অভিনেতাকে। কোনও রকম নড়াচড়া চলবে না। তার শরীরে একাধিক আঘাত এবং সে গুলি গুরুতর। যার মধ্যে একটি মেরুদণ্ডের খুব কাছে। বেশি নড়াচড়া মানেই সেখান থেকে রক্তপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। একই ভাবে সংক্রমণের সম্ভাবনাও থাকবে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার অস্ত্রোপচার হয় সাইফের। তার মেরুদণ্ডে বিঁধেছিল ভাঙা ছুরির ফলা। আড়াই ঘণ্টা ধরে দু’টি অস্ত্রোপচারের পর অভিনেতাকে বিপন্মুক্ত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। অস্ত্রোপচার করে বের করা হয় ছুরির ফলা।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :