ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। রোববার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই নির্দেশ দেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর পরীমণি গণমাধ্যমে নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন।
২৫ জানুয়ারি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি প্রতিবাদ জানান, কারণ টাঙ্গাইলে তার কসমেটিক ব্র্যান্ড ‘হারল্যান স্টোর’ এর শোরুম উদ্বোধন স্থগিত করা হয়েছে। এর মধ্যে, ২৬ জানুয়ারি বোটক্লাব কাণ্ডের মামলায় পরীমণির বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
পরীমণির এসব বিষয়কে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। কেউ নায়িকা সমর্থন করছেন, কেউ বা আবার দোষারোপও করছেন পরীমণিকে। যদিও এসবে একেবারেই পাত্তা দিচ্ছেন না অভিনেত্রী। বরং সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, চুপ থাকার মেয়ে তিনি নন। যেটা সত্যিই, সেটা তিনি বলবেনই।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে দেশের একটি গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন পরীমণি। তিনি বলেন, আমার মনে হয়েছে বিষয়টি সামনে আনা দরকার। না হলে পরে এটা আরও প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। এখনই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। হয়তো আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে চুপ থাকতেন। কিন্তু আমি চুপ থাকার মেয়ে না। যা সত্যি তা তো বলতেই হবে। এটা তো আমার দেশ, আমার ইন্ডাষ্ট্রি। নিজের দেশে কেনো নিরাপদে কাজ করতে পারবোনা।
তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠান যেটা ভালো মনে করে সেটা আনুষ্ঠানিকভাবে করবে। কিন্তু এটা নিয়ে প্রতিবাদ করা তো আমারও দায়িত্ব। সেই দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকেই আমি কথা বলেছি। ফেসবুকে লিখেছি।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি প্রসঙ্গে চিত্রনায়িকা বলেন, প্রতিবাদ করার জন্য যদি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয় তাহলে কষ্টকর। মানুষ কথা বলা ছাড়া কিভাবে থাকবে। যে চুপ থাকতে চায় সে চুপ থাকুক। কিন্তু যে বলতে চায় তাকে তো বলতে দিতে হবে। তবে এটি যেহেতু আদালতের বিষয়, আইনীপ্রক্রিয়া আমিও আইনিপ্রক্রিয়াতেই হাঁটব। বিষয়টি আমার আইনজীবীই দেখছেন।
একুশে সংবাদ/আ.ট/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :