ঢালিউড চিত্রনায়িকা পরীমণি আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর সোমবার (২৭ জানুয়ারি) আত্মসমর্পণ করবেন। আত্মসমর্পণ করার পর তিনি আদালতে জামিন আবেদন করবেন।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী সংবাদমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সোমবার (২৬ জানুয়ারি) পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। আদালত তার সময় আবেদনও নামঞ্জুর করে এবং চার্জশিট গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে।
২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে পরীমণি ও আরও দুইজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন বোটক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ। ওই মামলায় পরীমণির গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন তার আইনজীবী সোহেল।
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর পরীমণির পক্ষের আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী আদালতে সময় আবেদন করেন। তবে আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করে এবং চার্জগঠন করার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি, আগামী ২০ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়।
পরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, অভিনেত্রী ও তার সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম অ্যালকোহল সেবনে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামীদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। মূল্য দাবি করলে পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলার হয়রানির ভয় দেখান।
পরীর বিরুদ্ধে করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর পরী তার সহযোগীদের নিয়ে বোটক্লাবে ঢোকেন। ওই সময় বোটক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম ক্লাব ত্যাগ করছিলেন।
ওইসময় পরী উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাসির ও আলমকে ডাক দেন। তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসারও অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে পরীমণি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেয়ার জন্য চাপ দেন।
নাসির উদ্দিন এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি তাকে গালমন্দ করেন। নাসির এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে পরীমণি হত্যার হুমকি দিয়ে বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন।
এ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য পরীমণি ৫ দিন পর ২০২১ সালের ১৪ জুন ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে পরীমণি সাভার থানায় বাদী নাসির উদ্দিন, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ৪ জনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। যদিও সে মামলার তদন্তে ধর্ষণ বা হত্যাচেষ্টার কোনো প্রমাণ পাননি পুলিশ।
একুশে সংবাদ/স.ট/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :