বলিউডের নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি সম্প্রতি প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত মহাকুম্ভমেলায় সন্ন্যাস গ্রহণ করেছেন। সন্ন্যাসী হওয়ার পর তিনি `মা মমতা নন্দগিরি` নামে পরিচিত হচ্ছেন। সন্ন্যাস গ্রহণের সময় তিনি পূর্বাশ্রমের স্মৃতি বিসর্জন দিয়ে পিণ্ডদানও করেছেন। সন্ন্যাস গ্রহণের পর মমতা কুলকার্নি আধ্যাত্মিক সাধনায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন।
অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি বলেছেন, "আবার সিনেমায় ফেরার কথা ভাবতেই পারি না। আমার পক্ষে আবার কাজটি করা অসম্ভব।" তিনি তার অভিনয় জীবনে `করণ অর্জুন`, `ঘাতক` সহ একাধিক হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তবে পরবর্তীতে তিনি অভিনয় জগত থেকে সরে যান এবং আধ্যাত্মিক জীবনের প্রতি আকৃষ্ট হন।
তবে তার এই সন্ন্যাস গ্রহণ নিয়ে বিতর্কও সৃষ্টি হয়েছে। যোগগুরু রামদেব এ বিষয়ে সমালোচনা করে বলেছেন, "বিশ্বের যাবতীয় কিছু ভোগ করে আচমকা সন্ন্যাসী হওয়ার ইচ্ছা। ভাবছে এক দিনেই মহামণ্ডলেশ্বর তকমা পেয়ে যাবে।"
বলিউডে একটা সময়ে নাকি অনেকের সঙ্গেই রূঢ় আচরণ করতেন অভিনেত্রী। তার সেই রূঢ় আচরণের শিকার হয়েছিলেন আমিশা প্যাটেলেও।
সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মমতা কুলকার্নি বলেন, আমরা একটা বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ের জন্য এক জায়গায় গিয়েছিলাম চার-পাঁচ দিনের জন্য। দিনের বেলা শুটিং হতো। আর রাতে আমরা সবাই একসঙ্গে বুফেতে খাওয়া দাওয়া করতাম। তবে শুধুই আমিষ খাবার থাকত। কিন্তু সেই খাবার যে কতটা খারাপ, বলে বোঝানো যাবে না।
অভিনেত্রী বলেন, বাধ্য হয়ে আমিষ খাবারই খেয়েছিলাম। কারণ আর কিছু ছিল না। কিন্তু মাংস খেতে গিয়ে দেখি, চিবোনো যাচ্ছে না। আমি সঙ্গে সঙ্গে বলি জঘন্য খাবার, চিবোতেই পারছি না। সেখানে মিস্টার বজাজও উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, এটা নাকি হরিণের মাংস। এই শুনে আমি বলে দিয়েছিলাম— পরের বার থেকে যেন আগেই বলে দেওয়া হয়। কারণ আমরা মুরগি বা পাঁঠার মাংস ও মাছ খাই। হরিণের মাংস কে খায়!
কিন্তু এখানেই সমস্যা বাধে আমিশার সঙ্গে। এসব দেখে আমিশা মন্তব্য করেছিলেন— এই নায়িকাদের নাটক করার প্রবণতা খানিকটা বেশিই। এরা তিলকে তাল করতে ওস্তাদ।
এ কথা শুনে তৎক্ষণাৎ মমতা বলেন, আমিশা তখন নতুন, আমি চিনতামও না। আমি বলেছিলাম কে এই মেয়েটা ও কেন নাক গলাচ্ছে? আমি তো ওর সঙ্গে কথাও বলছি না।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :