প্রখ্যাত চিত্রনায়িকা পপি দীর্ঘ চার বছরের আড়াল ভেঙে সম্প্রতি বিয়ে এবং ব্যক্তিগত জীবনের নানান দিক নিয়ে মুখ খুলেছেন। গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, বিয়ে নিয়ে তার পূর্বপরিকল্পনা ছিল না; বরং জীবন রক্ষার প্রয়োজনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলেন।
পপির ভাষ্যে, ২০১৯ সালে তার বাসায় একটি ‘ভয়াবহ দুর্ঘটনা’ ঘটে, যেখানে অনেক বড় অঙ্কের টাকা চুরি হয়। এই ঘটনার পর থানায় জিডি করলে তাকে রমনা থানায় ডাকা হয়। সেই সময় তিনি তার বন্ধু আদনানকে ডেকে আনেন।
পপি জানান, থানায় গিয়ে দেখেন তার নিজের ভাইবোনেরাই সেখানে। সম্পত্তি ও টাকাপয়সা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয় এবং সেই জটিলতার মধ্যেই তিনি নিজেকে নিরাপত্তাহীন মনে করতে শুরু করেন। তিনি বলেন, “ফিল্মের জগতে সবার সঙ্গে মিশেছি, কিন্তু আপনজন কেউ ছিল না। পরিবার অন্তঃপ্রাণ মানুষ হয়েও আমার পরিবারই তখন আমার জন্য অচেনা হয়ে গেল।"
জটিলতার পুরো সময়ে আদনান তার ছায়াসঙ্গী হয়ে পাশে ছিলেন। পপি বলেন, “আদনান আমার হাত শক্ত করে ধরে বলেছিল, ‘আমি আছি, নো টেনশন।’ সেই সময় যদি এমন একজন বন্ধুকে না পেতাম, আমার জীবনটাই বিপন্ন হয়ে যেত।”
জীবনের সংকটাপন্ন অবস্থায় ২০২০ সালের নভেম্বরে আদনানের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন পপি। বাসায় কাজি ডেকে পারিবারিকভাবে এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। তবে তিনি এই বিয়েতে তার মাকে ডাকেননি । পপির দাবি, “আমার মা চাইত না আমি বিয়ে করে সংসারী হই।”
পপি বলেন, তিনি স্বামীর সঙ্গে ধানমন্ডিতে থাকতেন এবং সংসার বাঁচানোর জন্যই জীবনটাকে গুছিয়ে নেন। এমনকি স্বামী না চাইলে সিনেমা থেকেও সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।
পপি জানান, আদনানের সঙ্গে তার পরিচয় সাত বছরের এবং পরিচয়ের তিন বছর পর তাদের বিয়ে হয়। তিনি বলেন, “আদনান আমার অসাধারণ একজন শুভাকাঙ্ক্ষী এবং পারিবারিক বন্ধু। আমার যেকোনো বিপদে সে ছায়ার মতো পাশে ছিল।”
পপির এই খোলামেলা স্বীকারোক্তি তার ব্যক্তিগত জীবনের অনেক অজানা দিক প্রকাশ করেছে। জীবন সংকট থেকে বিয়ের সিদ্ধান্ত এবং বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পপির এই গল্পে উঠে এসেছে বাঁচার তাগিদ এবং বাস্তব জীবনের কঠিন সত্য।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :