বাংলাদেশে বর্তমানে রয়েল এনফিল্ড বাইক ব্যাপক জনপ্রিয় যা ২০২৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে এসেছে। তবে চমকপ্রদ বিষয় হলো, ২৯ বছর আগেই বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা সালমান শাহ রয়েল এনফিল্ড চালিয়ে রোড কাঁপিয়েছিলেন!
সম্প্রতি ‘রয়েল এনফিল্ড ফ্যান ক্লাব-বাংলাদেশ’ পেজে সালমান শাহর একটি পুরনো ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে তাকে সাদা রঙের রয়েল এনফিল্ড বাইকে কালো পোশাকে দেখা গেছে। ছবিটি মূলত ১৯৯৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এমএম সরকার পরিচালিত ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’ সিনেমার। সিনেমার ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’ গানটির শুরুতেই এই দৃশ্য দেখা যায়। এ সিনেমায় সালমান শাহর সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন শাবনূর।
ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট হওয়ার পর থেকেই সালমান ভক্তরা একের পর এক মন্তব্য করতে থাকেন। একজন নেটিজেন মন্তব্য করেছেন— “এ কারণেই সালমান শাহকে উত্তরাধুনিক নায়ক বলা হয়। তিনি ছিলেন সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে।” আরেকজন লিখেছেন— “সালমান শাহ ছিলেন আন্তর্জাতিক মানের একজন স্টাইলিশ নায়ক। তার ফ্যাশন সেন্স আজও সমান প্রাসঙ্গিক।”
এদিকে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, ২৯ বছর আগে বাংলাদেশে রয়েল এনফিল্ড এলো কীভাবে? অনুমতি ছিল কি? জেকে খোকন নামে একজনের এমন প্রশ্নের জবাবে এক নেটিজেন লিখেছেন— “আগে রাস্তায় বাইকের সিসি লিমিট ছিল না। ২০০০ সালের পর থেকে সিসি লিমিট চালু হয়। তার আগে হোন্ডা কোম্পানি ২০০ সিসির বাইকও বাংলাদেশে বিক্রি করেছে।”
রাশেদ নিজাম বিপলু নামে আরেকজন জানান, ছবির বাইকটির আসল মালিক ছিলেন বাংলা সিনেমার ভিলেন হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের ফকিরা। তার কাছেই বাইকটি ছিল এবং সম্ভবত এখনো আছে। তবে এফডিসিতে খোঁজ নিয়ে এমন কোনো বাইকের সন্ধান মেলেনি।
সালমান শাহর স্টাইল, ফ্যাশন এবং তার সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকা মনোভাব ভক্তদের আবারও মুগ্ধ করেছে। অনেকে নস্টালজিক হয়ে সালমানের ব্যবহার করা বিভিন্ন গাড়ি ও বাইকের ছবি শেয়ার করছেন।
বর্তমান প্রজন্মের তরুণদের মধ্যে রয়েল এনফিল্ড ব্র্যান্ডের বাইক নিয়ে ব্যাপক উন্মাদনা। আকর্ষণীয় ডিজাইন ও শক্তিশালী পারফরম্যান্সের কারণে এটি হয়ে উঠেছে ফ্যাশন এবং প্যাশনের প্রতীক।
এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও প্রমাণ হলো, সালমান শাহ শুধু তার সময়ের নায়ক ছিলেন না বরং তিনি ছিলেন চিরন্তন এক স্টাইল আইকন যার ফ্যাশন এবং স্টাইল আজও প্রাসঙ্গিক।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :