মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে দীর্ঘ সাত মাস পর কবর থেকে অভিনেত্রী তানজিন তিশার সহকারী ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ আল-আমিনের লাশ তোলা হয়েছে। গত ১০ মার্চ দুপুরে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজের নেতৃত্বে এবং উত্তরা পশ্চিম থানা ও শ্রীনগর থানা পুলিশের তত্ত্বাবধানে শ্রীনগর উপজেলার বালাসুর কাশেমনগর কবরস্থান থেকে আল-আমিনের মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
শ্রীনগর উপজেলার বালাসুর এলাকার দিনমজুর আইউব খলিফার ছেলে আলামিন গত ১৯ জুলাই ঢাকার উত্তরায় আন্দোলনে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান। তাকে উত্তরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পর ফেসবুকে আক্ষেপ করে পোস্ট দিয়েছেন তিশা। আলামিন ছিলেন তানজিন তিশার সহকারী। তবে তিশা বরাবরই তাকে ভাই বলে সম্বোধন করেছেন। একটু হতাশ হয়েই তিশা সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট দিয়েছেন।

তিশা লিখেছেন, আলামিন, শুধুমাত্র সহকারী নয়, সে আমার ভাই। যে আমার সাথে পাঁচটি বছর ছিল। যে ছিল নিষ্পাপ একটি ছেলে এবং সে জুলাই ও আগস্ট এর আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয়।
তিনি আরও লেখেন, ‘সাত মাস পর আলামিনের মরদেহ কবর থেকে ওঠানোর মতো নির্মম বিষয়টি আমি মোটেও সমর্থন করছি না। এই কর্মের মাধ্যমে কি লাভ হবে?’
সবশেষে তিশা বললেন, ‘শুধুমাত্র ওর আত্মাটা কষ্ট পাচ্ছে। পুরো বিষয়টা আমি জানার পর বিষয়টি আমার কাছে মেনে নেয়া অনেক কষ্টদায়ক। এর পেছনে যে বা যারা জড়িত তারা কোন উদ্দেশ্যে এই কাজটি করেছে আমি চিন্তা করে খুবই হতবাক বিষয়টি নিয়ে। ভাইয়া তুই ভালো থাকিস।’
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :