ক্যানসার রোগের গোটাচারেক স্টেজ বা পর্যায় রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে (স্টেজ ১) রোগ ধরা পড়লে অস্ত্রোপচার করে ক্যানসার সমূলে বিনাশ করা যায়। কিন্তু অসুখ ছড়িয়ে পড়লে কেমোথেরাপি, অস্ত্রোপচার ও রেডিয়োথেরাপির সাহায্য প্রয়োজন হয়। যেমনটা দরকার হয়েছে টেলি অভিনেত্রী হিনা খানের। তিনি তৃতীয় পর্যায়ের (স্টেজ ৩) স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত। কেমোথেরাপি চলছে। এর ফলে নানা শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিয়েছে।
চুল উঠে যাওয়া তার মধ্যে অন্যতম। তাই আগেভাগেই মাথার চুল কামিয়ে ফেলেছিলেন হিনা। তবে, শুধু চুল নয়, হিনার শরীরে আরও অনেক রকম পরিবর্তন এসেছে। এর মধ্যে অন্যতম নখ শুষ্ক, বিবর্ণ হয়ে যাওয়া, ভেঙে যাওয়া। যদিও এ নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে তাকে।
অনেকেই নাকি হিনাকে প্রশ্ন করছেন, তিনি নেলপলিশ পরেন না কেন? ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পরও কাজ থামাননি অভিনেত্রী। চিকিৎসার পাশাপাশি সমান তালে চলছে তাঁর কাজ। ক্যামেরার সামনে অভিনেত্রীদের খানিক সুসজ্জিত হয়েই থাকতে হয়। কিন্তু হিনার পক্ষে তেমনটা করা সম্ভব হচ্ছে না।
অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘অনেকেই আমার নখের কথা জিজ্ঞাসা করছেন, আমার আবাসনের কিছু প্রতিবেশীও রয়েছেন এই তালিকায়। আমি কেন নেলপলিশ ব্যবহার করি না? আমি কী ভাবে নেলপলিশ পরে নামাজ পড়ব? এমন নানা প্রশ্ন। একটু মাথা ব্যবহার করুন।’’
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘‘কেমোথেরাপির সবচেয়ে সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে একটি হল নখের বিবর্ণতা...। আমার নখ ভঙ্গুর, শুষ্ক হয়ে গেছে এবং মাঝে মাঝে নখ আপনা থেকেই উঠে আসে...। কিন্তু ভাল দিকটা কী জান, এই সবই সাময়িক। আর মনে রাখবেন আমি সুস্থ হয়ে উঠছি...। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ।’’
যদিও হিনার অসুস্থতা নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন আরেক অভিনেত্রী রোজ়লিন খান। এতটা শারীরিক কষ্ট নিয়ে কী ভাবে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছেন হিনা, সেটাই যেন বড্ড মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রোজলিনের।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :