হলিউডে চার শতাধিক তারকারা সম্মিলিত উদ্যোগ নিয়েছেন। বেন স্টিলার, কেট ব্ল্যানচেট, সিন্থিয়া এরিভোসহ শোবিজের প্রথম সারির তারকারা যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউজে পাঠিয়েছেন এক জোরালো চিঠি। ভ্যারাইটির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তাদের দাবি একটাই—হলিউডকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) থাবা থেকে রক্ষা করা হোক। সিনেমা, টিভি শো ও সংগীতের কপিরাইট সুরক্ষিত না হলে টেক জায়ান্টরা আমেরিকার সৃজনশীল শিল্পকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
চলচ্চিত্র জগতের ক্ষোভের তীর গুগল ও ওপেন এআইয়ের দিকে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নে কপিরাইট আইন শিথিলের সুপারিশ করেছিল প্রতিষ্ঠান দুটি। তবে তারকারা মনে করেন, এতে সংকটে পড়বে হলিউড। যুক্তরাষ্ট্রের বিনোদন খাতে কাজ করেন প্রায় ২৩ লাখ মানুষ, যেখানে বার্ষিক আয় ২৩ হাজার কোটি ডলার। এই খাত শুধু অর্থনৈতিক নয়, আন্তর্জাতিক পরিসরে আমেরিকার ‘সফট পাওয়ার’ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অন্যদিকে, গত জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নিয়ন্ত্রণ শিথিল করতে নির্বাহী আদেশে সই করেন। যুক্তি ছিল—প্রযুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য ধরে রাখা। এদিকে গুগল ও ওপেন এআই পরামর্শ দিয়েছে, তাদের এআই মডেলকে আরও দক্ষ করতে কপিরাইট থাকা কনটেন্ট দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত। নাহলে প্রতিযোগী দেশগুলো এই সুযোগ কাজে লাগাবে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে হলিউডে শুরু হওয়া ধর্মঘটের বড় কারণগুলোর একটি ছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দাপট। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো খরচ কমাতে প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠছে, যা সৃষ্টিশীলদের চাকরির নিরাপত্তা ও মানের প্রশ্ন তুলছে।
হোয়াইট হাউজের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরে পাঠানো চিঠিতে তারকারা লিখেছেন, এই সংকট শুধু হলিউডের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, এটি আমেরিকার সৃজনশীল শিল্পের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিঠিতে স্বাক্ষর সংগ্রহ এখনও চলছে। হলিউড বনাম প্রযুক্তি জায়ান্টদের এই লড়াই কোথায় গিয়ে থামে, তা সময়ই বলে দেবে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :