বিদেশে গিয়ে ‘অপমানিত’ নেহা কক্কর। মেলবোর্ন শহরে অনুষ্ঠান ছিল গায়িকার। দর্শক-শ্রোতাদের তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে তবে মঞ্চে ওঠেন নেহা। তার পরেই তাঁর উদ্দেশে শ্রোতাদের তরফে ধেয়ে আসে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। তা শুনে মঞ্চে দাঁড়িয়েই অঝোরে কাঁদতে শুরু করেছিলেন গায়িকা।
এখানেই শেষ নয়। গায়িকাকে মঞ্চের উপর কাঁদতে দেখে দর্শকাসন থেকে ফের উড়ে আসে মন্তব্য, “নাটক করবেন না। এটা রিয়্যালিটি শো নয়।” ঘটনা নিয়ে হুলস্থুল সমাজমাধ্যমে। এ বার এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন নেহা নিজেই।
বৃহস্পতিবার সমাজমাধ্যমে এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় তিনি লিখেছেন, “সত্যিটা জানার জন্য অপেক্ষা করুন শুধু। সত্যি জানতে পারলে পরে অবশ্যই আপনার অনুতাপ হবে।” এর সঙ্গে দুঃখের একটি ‘ইমোজি’ও জুড়ে দেন গায়িকা। নেহার বক্তব্য, কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণেই তিনি ঠিক সময়ে অনুষ্ঠানে পৌঁছোতে পারেননি। তবে সেই কারণ এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।
মেলবোর্ন শহরের অনুষ্ঠানের মঞ্চে ক্রন্দনরত নেহার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তে। নেটপাড়াতেও তাঁর দিকে ধেয়ে আসে কটাক্ষ। ওই দিন অনুষ্ঠানে দেরিতে পৌঁছে প্রথমেই নেহা বলেছিলেন, “আপনারা সত্যিই ভাল। অনেক ক্ষণ ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছেন। আমার খুব খারাপ লাগছে, আমি জীবনে কখনও কাউকে এতটা অপেক্ষা করাইনি। আপনারা এত ক্ষণ অপেক্ষা করছেন। আমি খুবই দুঃখিত। এটা একটা সত্যিই বড় বিষয়। এই সন্ধেটা আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আজ আপনারা সবাই আমার জন্য অনেক মূল্যবান সময় বার করেছেন। শোয়ের শেষে যাতে সকলে আপনারা নাচেন তার দায়িত্ব আমি নিচ্ছি।”
নেহার কান্না নিয়েও মশকরা করেছেন নিন্দকেরা। এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন গায়িকার ভাই টোনি কক্করও। তিনি খোঁচা দিয়ে বলেছেন, “অনুরাগীরাও তো কাঁদেন। তাদের কান্না যদি সত্যি হয়, তা হলে শিল্পীদের কান্না মিথ্যে হবে কেন?” ভাইয়ের পোস্টের তলায় গিয়ে নেহা মন্তব্য করেছেন, “ভাই, তোমাকে খুব ভালবাসি।”
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :