ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেয়েছে ছয়টি বাংলা সিনেমা। মাল্টিপ্লেক্সেই এখন সিনেমা ব্যবসার মূল কেন্দ্র, যেখানে শো সংখ্যা নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা অভিযোগ ও উচ্ছ্বাস।
স্টার সিনেপ্লেক্সে শো বিভাজন: বর্তমানে স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘বরবাদ’-এর ৪০টি শো, ‘দাগি’র ২৬টি, ‘জংলি’র ৭টি, ‘চক্কর ৩০২’-এর ৩টি এবং ‘জ্বীন ৩’-এর ২টি শো চলছে। দর্শকের অনাগ্রহে ‘অন্তরাত্মা’ ঈদের তৃতীয় দিনেই নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগের তীর `জংলি` ও `চক্কর ৩০২`র পক্ষ থেকে: ‘জংলি’র নির্মাতা এম রাহিম বলেন, সব শো হাউসফুল যাচ্ছে, তবুও শো বাড়ানো হচ্ছে না। শিশুকিশোরদের মধ্যে ছবিটির চাহিদা বেশি, কিন্তু স্কুল-কলেজ খোলার আগে এ সুযোগ হারানোর আশঙ্কা করছেন তিনি।

‘চক্কর ৩০২’ পরিচালক শরাফ আহমেদ জীবন জানান, ভালো প্রতিক্রিয়া পাওয়া সত্ত্বেও শো কমছে, যা হতাশাজনক। শুরুর ২১টি শো এখন নেমে এসেছে মাত্র ৪-এ। তার মতে, দর্শকের মুখে ছবিটির জনপ্রিয়তা বাড়ছে, অথচ তারা হলে গিয়ে ছবিটি পাচ্ছে না।

স্টার সিনেপ্লেক্সের ব্যাখ্যা: প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “সব ছবিকেই আমরা শো দেই।

কোনটা বেশি চলবে, সেটা দর্শক চাহিদা ও ব্যবসায়িক নীতির উপর নির্ভর করে।” তিনি জানান, ‘চক্কর ৩০২’র মতো তুলনামূলক ছোট ছবিকেও তারা সুযোগ দিচ্ছে।
হলিউড বনাম বাংলা ছবি বিতর্ক: অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, পর্যাপ্ত বাংলা ছবি থাকা সত্ত্বেও কেন হলিউডের শো চলছে? মেসবাহর মতে, “সব দর্শকের চাহিদা পূরণের জন্যই আমরা হলিউড ছবি রাখি। তবে চাহিদা কমলে তা বাংলা ছবির জন্য ছেড়ে দেই।”

বাকি মাল্টিপ্লেক্সগুলোর চিত্র: লায়ন সিনেমাস: ‘বরবাদ’ প্রতিদিন ৭টি শো পাচ্ছে, ‘দাগি’ ৪টি, ‘জংলি’ ও ‘চক্কর ৩০২’ ২টি করে।
ব্লকবাস্টার সিনেমাস: ‘বরবাদ’-এর ১০টি, ‘দাগি’র ৫টি, ‘জংলি’ ও ‘চক্কর ৩০২’ ৩টি করে শো চলছে।
সার্বিকভাবে মাল্টিপ্লেক্সগুলো দর্শকচাপ সামাল দিতে শো বাড়ানো-কমানো করছে। তবে ছোট বাজেট ও প্রচারবিহীন ছবিগুলোর জন্য এখনো জায়গা পাওয়া কঠিন বলেই অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।
একুশে সংবাদ//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :